Naya Diganta

চট্টগ্রামকে হারিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করল সিলেট

চট্টগ্রামকে হারিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করল সিলেট।

হেসে খেলেই চট্টগ্রামকে উড়িয়ে দিল নাজমুল-মুশফিকের সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামের ১৭৪ রান তাড়া করে দলের জয় নাজমুল নিশ্চিত করতে না পারলেও মুশফিকুর রহিম ও রায়ান বার্লের ২২ বলে ৪৮ রানের জুটি ২ ওভার বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জিতেছে সিলেট।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বন্দরনগরীর দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফী বিন মর্তুজার দল। আজো অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, একই সাথে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। এইদিন হেসেছে মুশফিকুর রহিমেরও ব্যাট। এই জয়ে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

লক্ষ্যটা খুব একটা সহজ ছিল না। ১৭৫ রানের লক্ষ্য যেকোনো দলকেই ভাবনায় ফেলবে। তবে সিলেটের ভাবনা দূর করে দেয় উদ্বোধনী জুটি। তৌহিদ হৃদয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে বেশ ভালোভাবেই পাড়ি দেন পাওয়ার প্লে। বিনা উইকেটে ৫৫ রান আসে প্রথম ৬ ওভারে। ৮.১ ওভারে প্রথম উইকেটের পতন হয় সিলেটের। ১৮ বলে ১৫ রান করে ফিরেন।

আগের দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরা মুশফিক এইদিন ব্যাট হাতে মাঠে আসেন তিন নাম্বারে। শান্তর সাথে জুটি বেঁধে এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। তাদের ২৮ বলে ৪৭ রানের জুটি ভাঙে শান্তর বিদায়ে। শান্ত আউট হন ৪৪ বলে ৬০ রান করে৷ তবে তা সিলেটের জয়ে বাঁধা হতে পারেনি।

চার নম্বরে ব্যাট করতে এসে সমর্থকদের বিধ্বংসী ব্যাটিং উপহার দেন রায়ান বার্ল। প্রথমবার বিপিএল খেলতে এসে কোনো সংকোচ ছাড়াই ব্যাট করেন বার্ল। ১৬.২ ওভারে আউট হবার আগে খেলেন ১৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস। সেই সাথে মুশফিকের সাথে গড়ে তোলেন ২৩ বলে ৪৮ রানের জুটি।

বাকি কাজটি জাকির হাসানকে নিয়ে সহজেই সমাধান করেন মুশফিক। তাদের ১০ বলে ১৯ রানের হার না মানা জুটিতে ২ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। মুশফিকুর রহিম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ৪১ রানে, জাকির হাসানের ব্যাটে আসে ৫ বলে ১২ রান। বিজয়কান্ত নেন ২ উইকেট।

এর আগে মেহেদী মারুফ আর শুভাগত হোমের জোড়া অর্ধশতকে ১৭৪ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের, ইনিংসের প্রথম বলেই উসমান খানকে হারায় তারা। মাশরাফী বিন মর্তুজার শিকার হয়ে ০ রানেই ফেরেন এই ওপেনার। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রাখে বন্দরনগরীর দলটি। আফিফ হোসেনকে সাথে নিয়ে মেহেদী মারুফ গড়েন ৬৭ বলে ৮৮ রানের জুটি। চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহের ভিত্তি সেখানেই গড়ে উঠে।

তবে আফিফ হোসেন ২৭ বলে ৩৪ রান করে ফিরলে ধ্বংস নামে চট্টগ্রামের ইনিংসে। ৩ বল পরেই আফিফের পথ ধরেন মেহেদী মারুফ। অবশ্য আউট হবার আগে আসরের প্রথমবারের মতোন অর্ধশতক ছুঁয়েছেন তিনি। আউট হন ৪০ বলে ৫২ রানে। এরপর দ্রুত আরো কয়েকটি উইকেট হারায় বন্দরনগরীর দলটি। ৮৮/১ থেকে ১৪ বলের মাঝে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯৭/৫! সব মিলিয়ে ৯ রানের ভেতরই ৪ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।

এমতাবস্থায় দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। ইরফান শুক্কুরের সাথে ১৪ বলে ৩০ রানের জুটিতে শুরু, যেখানে ৮ বলে ২১ রান। ইরফান ৬ বলে ৯ করে আউট হলে এবার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে নিয়ে গড়েন ২৯ বলে ৪৭ রানের হার না মানা জুটি। সুবাদে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। শুভাগত ২৯ বলে ৫৪ ও মৃত্যুঞ্জয় অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ১৫ রানে।