Naya Diganta

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নতুন রানী সাবালেঙ্কা

সাবালেঙ্কা

বেলারুশিয়ান পঞ্চম বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মহিলা এককে প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম শিরোপা জিতেছেন। ফাইনালে লড়াই হলো দুর্দান্ত। প্রথম সেটে পরাজয়ের পর দুর্দান্ত প্রতাপে ঘুরে দাঁড়ান সাবালেঙ্কা। প্রথমবার গ্র্যান্ডস্ল্যামের ফাইনালে উঠেই তিনি শিরোপা জিতলেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে জিতলেন সবগুলোই। এর আগে একাধিকবার ফেবারিট হিসেবে এসে গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালেও খেলা হয়নি। এবার ফাইনালেও উঠলেন, স্বপ্নও পূরণ হলো ২৪ বছর বয়সী এই টেনিস তারকার। রাশিয়ান বংশোদ্ভূত কাজাখ টেনিস তারকা এলেনা রিবাকিনাকে ২-১ সেটে হারিয়ে বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম সাবালেঙ্কার।
মেলবোর্ন পার্কে সাবালেঙ্কা প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের পর আনন্দে কোর্টেই শুয়ে পড়েন। বছরের প্রথম ১০ ম্যাচেই সরাসরি সেটে জেতা সাবালেঙ্কার ফাইনালে ছন্দ পেতে কিছুটা সময় লাগে। শেষ পর্যন্ত তিনি হারিয়ে দেন ৪-৬, ৬-৩ ও ৬-৪ এলেনা রিবাকিনাকে। রাইবাকিনার ক্যারিয়ারে যোগ হলো না দ্বিতীয় গ্ল্যান্ডস্ল্যাম।
বিশ্বের ৫ নম্বর তারকা সাবালেঙ্কা গতকাল ফাইনালে প্রথম সেটে অভূতপূর্ব শুরুর পরও ৬-৪ গেমে হেরেছিলেন। দ্বিতীয় সেটে এসেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। আক্রমণাত্মক শৈলীর মাধ্যমে সব কিছু ঘুরিয়ে দেন। ৬-৩ গেমে জিতে ১-১ সমতায় ফেরেন সাবালেঙ্কা। দ্বিতীয় সেটে জিততে খুব একটা বেগ পেতে না হলেও তৃতীয় সেটে এসে আবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। শুরুর দিকে ৩-১-এ এগিয়ে গিয়েছিল রিবাকিনা। তৃতীয় গেমেই শুরুতেই ডাবল ফল্টের সুযোগে সার্ভিস ব্রেক করে রিবাকিনা এগিয়ে গেলেও একটু পরই সার্ভিস ব্রেক করে ৪-৪ গেমে সমতা ফেরান সাবালেঙ্কা। সাবালেঙ্কা ঘুরে দাঁড়ান এবং শেষ হাসি হাসেন ২-১ সেটে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ে। অস্ট্রেলিয় ওপেনের নতুন বনে যান সাবালেঙ্কা।
ম্যাচ শেষে সাবালেঙ্কা বর্ণনা করেছেন, রাশিয়ান ও বেলারুশিয়ান খেলোয়াড়দের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে খেলা থেকে বিরত থাকার পরে কিভাবে তিনি গত বছরের উইম্বলডন মুখোমুখি হতে পারেননি। তার মনকে টুর্নামেন্ট থেকে সরিয়ে নিতে জিমে আরো বেশি সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু মেলবোর্নে তার সাফল্যের চাবিকাঠি শরীরের মতো মনের দিকেও রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর থেকে সাবালেঙ্কা ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন।
জয়ের পর সাবালেঙ্কা বলেন, ‘এর আগে তিনটি বড় সেমিফাইনালে হেরেছি। এবার শিরোপা জয় করেছি। কী ঘটেছে তা বুঝতে আমার কয়েক দিনের প্রয়োজন। আমি বাকরুদ্ধ। এটা শেষ পর্যন্ত খুব আবেগপূর্ণ ছিল। আমি খুব খুশি ছিলাম যে, আমি শেষ খেলায় সমস্ত আবেগ সামলাতে পেরেছি। এটা খুবই কঠিন ছিল।’