বরিশালে নৃত্যশিল্পীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার ১
- ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪৪
বরিশাল নগরীর ধান গবেষণা এলাকায় নৃত্যশিল্পীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৮ (র্যাব)।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোররাতে পটুয়াখালী কলাপাড়া থানার ধানখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে র্যাব-৮-এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেফতার আসামির নাম মো: জসিম খান (৪০)। তিনি বরিশাল নগরের রুপাতলী এলাকার মরহুম কাসেম খানের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার রহমতপুর এলাকার ১৭ বছরের এক নৃত্যশিল্পী পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে এক যুবকের কথায় নগরের ধান গবেষণা রোডে গেলে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। সেখানে পটুয়াখালী সদর থানার ছোট বিঘাই এলাকার আহসান সিকদারের ছেলে মো: মিরাজ হোসেন (২২) ও বরিশাল নগরীর রুপাতলী এলাকার মরহুম কাসেম খানের ছেলে মো: জসিম খানের (৪০) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো একজনকে আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি মিরাজ হোসেন একজন ড্যান্স সহকারী। তিনি জরুরি কথা বলার জন্য ভিকটিমকে ডেকে নেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় জসিম খানসহ অজ্ঞাতনামা আরো একজন ওই কক্ষে এসে মিরাজ ও ভিকটিমের গোপন ভিডিও ধারণ করার দাবি করেন। পরে বিষয়টি ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দিয়ে তারা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এরপর তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ভিকটিম বিষয়টি পরিবারকে জানালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একইসাথে ভিকটিমের মা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
র্যাব জানায়, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে র্যাব-৮ বরিশাল ক্যাম্প মামলার ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করে। যেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জসিম খানকে গ্রেফতার করা যায়।
গ্রেফতারকে শনিবার দুপুরে কোতোয়লি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল র্যাব-৮-এর সিপিএসসি কোম্পানির অধিনায়ক (উপ-পরিচালক) মেজর মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম।