Naya Diganta

নাইজেরিয়ার ২০০০ শরণার্থী ক্যামেরুন ছাড়লেও সিংহভাগ থাকছেন

নাইজেরিয়ার ২০০০ শরণার্থী ক্যামেরুন ছাড়লেও সিংহভাগ থাকছেন

বোকো হারামের (উগ্র গোষ্টি) হাত থেকে পালিয়ে ক্যামেরুনের উত্তরাঞ্চলে পালিয়ে আসা শত শত নাইজেরিয়ার শরণার্থী এ সপ্তাহে দেশে ফিরতে শুরু করেছে। সোমবারের মধ্যে প্রায় ২,০০০ শরণার্থী নাইজেরিয়ায় ফিরে যাবে। দুই বছরের মধ্যে ক্যামেরুন থেকে নাইজেরিয়ার শরণার্থীদের এটাই হবে প্রথম বড় প্রত্যাবাসন। তবে, ৭৬ হাজার শরণার্থী এখনো নাইজেরিয়ায় ফিরে যেতে চাইছে না।

ক্যামেরুনের আঞ্চলিক প্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার শরণার্থীদের যান বহরগুলো এই সপ্তাহে মিনাওয়াও শিবির ছেড়ে নাইজেরিয়ার বোর্নো রাজ্যের বাঙ্কিতে চলে গেছে। ওই বহরগুলোতে বেশিরভাগই নারী ও শিশু ছিল।

শিবিরে বহু সংখ্যক শিশু জন্ম গ্রহণ করেছে। ২০০৯ সালে বোকো হারাম সদস্যরা (চরমপন্থী) ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য লড়াই শুরু করার পর ওই সব শিশুর বাবা মায়েরা নাইজেরিয়া থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।

তিন সন্তানের জনক ৪৭ বছর বয়সী ক্যাসিয়ান টামফো বলেন, ২০১৫ সালে বোকো হারাম যখন তার গ্রাম নাগাউরোতে আক্রমণ করেছিল এবং সব পুরুষকে ওই গোষ্ঠীতে যোগদান করতে বাধ্য করেছিল নতুবা তাদের হত্যাকরার হুমকি দিয়েছিল তখন তার পরিবার নাইজেরিয়া থেকে পালিয়ে যায়।

নাইজেরিয়ার বোর্নো রাজ্যের গভর্নরের বিশেষ উপদেষ্টা লাওয়ান আব্বা ওয়াকিলবে।

ওয়াকিলবে বলেন, নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী ফিরে আসা শরণার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং কর্তৃপক্ষ তাদের পুনরায় একত্রিত করতে সহায়তা করবে।

২০২১ সালের পর এটাই নাইজেরীয় শরণার্থীদের সবচাইতে বড় একটি দল যারা ক্যামেরুন ত্যাগ করেছে। ওই দুই দেশ এবং জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থার মধ্যে একটি চুক্তির পরে ৫ হাজার শরণার্থী দেশে ফিরে গেছে।

ক্যামেরুনে এক লাখ ৯ হাজার নাইজেরীয় শরণার্থী রয়েছে যার মধ্যে ৭৪ হাজার রয়েছে মিনাওয়াও শিবিরে এবং ৩৫ হাজার স্বাগতিক পরিবারদের সাথে।

জাতিসঙ্ঘ বলছে যে- ২০০৯ সাল থেকে বোকো হারাম বিদ্রোহের ফলে নাইজেরিয়ার প্রায় ছত্রিশ হাজার অধিবাসী প্রত্যক্ষভাবে নিহত হয়েছে এবং পরোক্ষভাবে হত্যা করা হয়েছে তিন লাখ ১৪ হাজার মানুষকে।

সংঘাতের ফলে অভ্যন্তরীণভাবে ৩০ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশ ক্যামেরুন, চাদ এবং নিজারে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।