Naya Diganta

দাচিগাম জাতীয় উদ্যানের কথা

দাচিগাম জাতীয় উদ্যানের কথা

জানো, ভারতের দাচিগাম জাতীয় উদ্যান বিখ্যাত। এর অবস্থান কাশ্মিরে। উদ্যানটি যেন কাশ্মিরের নীল নয়ন। এখানকার তৃণভূমি আর চারণভূমিতে চরে বেড়ায় নানা প্রাণী।
দাচিগাম উদ্যানে আকাশের উজ্জ্বল নীলে বিচিত্র পাখির ডানা ঝাপটানি। উঁচু-নিচু বিভিন্ন উচ্চতার পাহাড়-পর্বতে অনেক জাতের পশুর পদচারণা, গাছপালার মনোহর দৃশ্য। সব কিছু মিলে এক অনন্য জগৎ। জম্মু ও কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। এটি একটি সংরক্ষিত স্থান; অভয়াশ্রম।
সাগরসমতল থেকে উদ্যানের উচ্চতা স্থানভেদে পাঁচ হাজার ৫০০ ফুট থেকে ১৪ হাজার ফুট পর্যন্ত। আর তাই উদ্যানটি উচ্চ ও নিম্ন অঞ্চলে বিভক্ত।
দাচিগাম উদ্যানের আয়তন প্রায় ১৪১ বর্গকিলোমিটার। জীববৈচিত্র্য আর প্রাকৃতিক দৃশ্য উদ্যানটিকে দিয়েছে রূপময়তা। এখানে রয়েছে মারখর (ছাগলজাতীয় প্রাণী), বন্য ছাগল (ইবেক্স), কাশ্মিরি হরিণ, হ্যাঙ্গুল (লাল হরিণ), কস্তুরী হরিণ, শিকারি জন্তু চিতাবাঘ, কালো ভালুক, বাদামি ভালুকসহ বিভিন্ন হিমালয়ান প্রাণী। সোনালি ঈগল, শকুন ইত্যাদি পাখি রয়েছে এখানে।
উদ্যানের বন ফলপ্রদায়ী। এখানে রয়েছে বন্যচেরি, আখরোট, খুবানি, বাদাম, ওক, উইলো, সফিদার (পপলার), ভূর্জ (বার্চ), চিনার, পাইন এলম প্রভৃতি গাছ।
এখানকার তৃণভূমি আর চারণভূমিতে চরে বেড়ায় নানা প্রাণী।
১৯১০ সালে দাচিগাম সংরক্ষিত এলাকা গড়ে তোলা হয়। ১৯৮১ সালে এটি জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা পায়।
দাচিগাম মানে ১০টি গ্রামের সমাহার। এখানে সংরক্ষিত এলাকা গড়ার সময় ১০টি গ্রাম নতুন স্থানে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ওই গ্রামগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে এ সংরক্ষিত এলাকা বা উদ্যানের নাম রাখা হয় দাচিগাম।
দাচিগামের উচ্চ অঞ্চল ভ্রমণের সময় মে থেকে আগস্ট। নিম্ন অঞ্চল ভ্রমণের সময় সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ভ্রমণকারীরা এ উদ্যানে ভ্রমণ করতে পারেন।