আবার ফেরদৌস-পূর্ণিমা জুটি

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকা ফেরদৌস-পূর্ণিমা কিছু দিন আগেই সরকারি অনুদানে নির্মিত ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে’ সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে দু’জন এই সিনেমার কাজ প্রায় শেষ করেছেন। এর আগে বহু সরকারি অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করলেও এবারই প্রথম পূর্ণিমা সরকারি অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘আহারে’র পর তারা দু’জন আর কোনো সিনেমায় অভিনয় না করলেও তারা দু’জন এই মৌসুমে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে শোতে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন আগামীতে কয়েকটি স্টেজ শোর মধ্য দিয়ে। এরই মধ্যে কয়েকটি শোতে একসাথে কাজ করার কথা ছিল স্টেজ শোর প্রিয় জুটি হয়ে ওঠা ফেরদৌস-পূর্ণিমার। কিন্তু রান্নাবিষয়ক একটি রিয়েলিটি শোর বিচারক হিসেবে কাজ করার কারণে পূর্ণিমাকে বেশ কয়েক দিন অর্থাৎ নতুন বছরের শুরুর টানা কয়েক দিন গাজীপুরে থাকতে হয়েছে। যে কারণে ফেরদৌসের সাথে স্টেজ শো করা হয়ে ওঠেনি। ফেরদৌস বলেন, ‘এরই মধ্যে কয়েকটি স্টেজ শোতে আমার ও পূর্ণিমার একসাথে কাজ করার প্রস্তাবও এসেছিল। কিন্তু পূর্ণিমা রিয়েলিটি শো নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আমাদের আর একসাথে কাজ করা হয়ে ওঠেনি। তবে এখন আশা করা যাচ্ছে, শিগগিরই আমরা একসাথে কয়েকটি স্টেজ শোতে পারফর্ম করতে পারব।’ এ দিকে ফেরদৌস আগামী ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা যাচ্ছেন নতুন সিনেমা অর্কদীপ মল্লিøকা নাথের প্রথম সিনেমা ‘মীরজাফর-চ্যাপ্টার-টু’। পূর্ণিমা অভিনীত নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ সিনেমা দুটো আছে মুক্তির অপেক্ষায়। এ দিকে পূর্ণিমা এরই মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন। কাজল আরেফিন অমির পরিচালনায় তিনি ‘হোটেল রিল্যাক্স’-এ অভিনয় করেছেন। পূর্ণিমার দর্শক-ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তার অভিনীত এই ওয়েব সিরিজটি উপভোগ করার জন্য। এ দিকে ফেরদৌস এরই মধ্যে আরো কয়েকটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। সিনেমাগুলো হচ্ছে- ‘দামপাড়া’, ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’, ‘ক্ষমা নেই’, ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’। সবই অনুদানের সিনেমা। বাংলাদেশের সব নায়কের মধ্যে ফেরদৌসই সর্বাধিক অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার সমসাময়িক নায়ক ও তার পরবর্তী প্রজন্মের নায়কদের মধ্যেও তিনি সবচেয়ে বেশি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এরই মধ্যে ফেরদৌস অনন্য মামুনের পরিচালনায় প্রথমবার উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার সাথে একটি বিজ্ঞাপনেও মডেল হওয়ার সুযোগ পেলেন।