Naya Diganta

ইউক্রেনে ট্যাঙ্কের পর যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর আলোচনা

ইউক্রেনে ট্যাঙ্কের পর যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর আলোচনা।

রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্যাটেল ট্যাঙ্ক সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ওই দেশে যুদ্ধবিমান ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে ব্যাটেল ট্যাঙ্ক সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার সাথে সাথেই ইউক্রেনের ওপর আরো হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৫০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সূত্র অনুযায়ী, ৮৫ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।

তবে জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলার ফলে রাজধানী কিয়েভ, ওডেসা ও ভিনিৎসিয়া অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। রুশ স্থলবাহিনীও ইউক্রেনের পূর্ব প্রান্তে ৬০টির বেশি শহরে হামলা চালিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর উদ্দেশে আরো অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, একমাত্র উপযুক্ত অস্ত্র দিয়েই রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ করা সম্ভব। ইউক্রেনের শহরগুলোর উপর সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহার করা প্রতিটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ইরানি ড্রোন আরো অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে যুক্তি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্যাটেল ট্যাঙ্ক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্যানাডা ও ইউরোপের কিছু দেশও নিজেদের ভাণ্ডার থেকে জার্মানিতে তৈরি লিওপার্ড ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০টি ট্যাঙ্ক পেতে পারে ইউক্রেন। মার্চ বা এপ্রিল মাসেই জার্মানির লিওপার্ড-২ ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে পৌঁছে যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের পর এবার ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। ওই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এক উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এফ-১৬-এর মতো যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেছেন। ইউক্রেনের পুরো ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন ও এয়ার ডিফেন্স প্রণালী বসানোর ছাড়পত্র দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাটেউৎস মোরাভিয়েৎস্কি। ন্যাটো ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলে, তিনি পোল্যান্ডের সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ন্যাটোর উদ্দেশে আরো সাহসী পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের মতে, ইউক্রেনকে ব্যাটেল ট্যাঙ্ক সরবরাহের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়লো আমেরিকা ও ইউরোপ। রাশিয়া বার বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে প্রক্সি যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ করছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে