Naya Diganta

এক ম্যাচেই এমবাপ্পের ৫ গোল, পিএসজির ৭

এক ম্যাচেই পাঁচ গোলের কীর্তি গড়েছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি ফুটবলের ষষ্ঠ সারির দল পি দে কেসেলের বিপক্ষে এমন কীর্তি গড়েন কাতার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ী এই তারকা। তার পাঁচ গোলের সাথে আরো দুটো গোল যোগ করে ৭-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে পিএসজি। তবে একইদিন একাদশে ছিলেন না লিওনেল মেসি।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে প্রথমবার গোল আনন্দে মাতে পিএসজি, জালে বল ছুঁড়েন এমবাপ্পে। বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্দেসের পাসে গোল করেন এই ফরাসি তারকা। আরো আগেই গোলের দেখা পেত পিএসজি ও এমবাপ্পে। দশম মিনিটে তার করা একটি গোল অফসাইডে কাঁটা পড়ে। যাই হোক, প্রথম গোলের মিনিট তিনেক বাদেই দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার।

মিনিট না ঘুরতেই নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলের দেখা পান এমবাপ্পে। ৩৪তম মিনিটে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান এই ফরাসি তারকা। সেই গোলের আনন্দ না মুছতেই নিজের তৃতীয় গোল বা হ্যাট্রিকের দেখা পেয়ে যান। সেই সাথে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি।

বিরতি থেকে ফিরেও এমবাপ্পে ঝড় থামেনি, কমেনি পিএসজির একচেটিয়া আধিপত্য। ৫৬তম মিনিটে নেইমারের বানিয়ে দেয়া বলে পা ছুঁয়ে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। দলের গোল সংখ্যাও বেড়ে হয় ৫। দলের ষষ্ঠ গোল আসে ৬৪তম মিনিটে, সেই গোলেরও কারিগর নেইমার। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোলমুখে বল বাড়ান নেইমার। সেখানে কার্লোস সল বাঁ পায়ে বল জালে জড়ান।

দলের সপ্তম ও এমবাপ্পের পঞ্চম গোলের দেখা মেলে ৭৯ মিনিটে। আগের গোলদাতা সেই সলের পাস থেকে গোলটি করেন তিনি । বাকি সময়েও বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করে পিএসজি, তবে আর গোলের দেখা পাওয়া হয়নি।

এই ম্যাচে কতটা আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে পিএসজি, তা বোঝাতে একটা পরিসংখ্যানই যথেষ্ট, ‘ম্যাচে পি দে কেসেলের গোলমুখে ২৬টি শট নিয়েছিল পিএসজি।' বিপরীতে পি দে কেসেল পিএসজির জালে গোল তো দূরের কথা, একটি শটও নিতে পারেনি। পিএসজি জয় পায় ৭-০ গোলে।