Naya Diganta

নারী অধিকার রক্ষায় চাপ প্রয়োগে কাবুলে জাতিসঙ্ঘ দূতরা

জাতিসঙ্ঘের সিনিয়র কর্মকর্তারা তালেবান সরকারের সাথে আলোচনার জন্য আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পৌঁছেছেন। তালেবানের ‘লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য’ সৃষ্টি প্রশ্নে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করার পর তারা এ সফরে গেলেন।

মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘ মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।

১৭ মাস আগে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকেই তালেবান সরকার নারীদের ওপর কঠোর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তারা নারীদের সরকারি চাকরির বাইরে রেখেছে, তাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এবং পার্কে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

মুখপাত্র ফারহান হক জানান, সোমবার কাবুলে পৌঁছানো জাতিসঙ্ঘের এই প্রতিনিধি দলে ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা মোহাম্মাদ ও জাতিসঙ্ঘ নারী নির্বাহী সম্পাদক সিমা বাহুস রয়েছেন।

নিরাপত্তাজনিত কারণের কথা উল্লেখ করে এ সফরের বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফারহান হক বলেন, জাতিসঙ্ঘ রাজনীতি বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা খালেদ খিয়ারিও এ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।

গত সপ্তাহে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ‘নারী ও বালিকাদের অধিকারের ওপর নজিরবিহীন পদ্ধতিগত আক্রমণের’ নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আফগানিস্তানে ‘লিঙ্গ বৈষ্যমের সৃষ্টি করা হচ্ছে।’

আফগানিস্তানে পৌঁছানোর আগে এ প্রতিনিধি দল উপসাগরীয় এ অঞ্চলের পাশাপাশি এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নারী ও বালিকাদের অধিকার এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।

নারীদের চাকরি করার এবং কিশোরীদের শিক্ষা অধিকারের ইস্যুতে স্পষ্ট ঐকমত্যের কথা উল্লেখ করে জাতিসঙ্ঘ মুখপাত্র বলেন, জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তারা এ পরিস্থিতির অপরিহার্যতার প্রতি সমর্থন জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে তালেবান সরকার আফগান নারীদের বিভিন্ন এনজিও’তে কাজ করা নিষিদ্ধ করে। এর ফলে বিভিন্ন সংগঠন তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

এসব বেসরকারি সংগঠনের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি প্রতিষ্ঠান তালেবান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর আংশিকভাবে তাদের কার্যক্রম আবারো শুরু করেছে। এক্ষেত্রে তারা আশ্বাস দিয়েছে যে, নারীরা স্বাস্থ্য খাতে কাজ অব্যাহত রাখতে পারে।

এদিকে জাতিসঙ্ঘ তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।