Naya Diganta

ইরানে বিক্ষোভকালে নিরাপত্তা সদস্য হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

মাশা আমিনির মৃত্যুর জেরে বিক্ষোভের সময় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় শনিবার দু’জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। বিচার বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।

সর্বশেষ এই ঘটনায় দেশব্যাপী বিক্ষোভের কারণে এ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সংখ্যা দ্বিগুণ হলো। ডিসেম্বরে দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

বিচারিক বার্তা সংস্থা মিজান অনলাইন জানিয়েছে, ‘রুহুল্লাহ আজমিয়ানের শাহাদাতের জন্য অভিযুক্ত প্রধান অপরাধী মুহাম্মদ মাহদি কারামি এবং সাইয়্যেদ মোহাম্মদ হোসেইনিকে আজ সকালে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।’

৩ নভেম্বর আজমিয়ানকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করে আদালত ১ ডিসেম্বরের শুরুতে দু’জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় এবং মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। নিহত আজমিয়ান বাসিজ মিলিশিয়ার সদস্য ছিলেন এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের সাথে যুক্ত ছিলেন। তেহরানের পশ্চিমে কারাজে তিনি মারা যান।

প্রসিকিউটররা আগে বলেছিলেন যে শোকার্তদের একটি দল ২৭ বছর বয়সী আজমিয়ানকে নগ্ন করে হত্যা করেছিল। দলটি নিহত প্রতিবাদকারী হাদিস নাজাফিকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিল।

গত সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি তরুণী মাশা আমিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার সাথে শুরু হওয়া বিক্ষোভের তরঙ্গে কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার লোককে গ্রেফতার করেছে। ওই তরুণীকে পোশাকের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে নৈতিকতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।

সরকারী তথ্যের ভিত্তিতে এএফপি’র হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবাদ আন্দোলনের শুরু থেকে বিক্ষোভের সাথে জড়িত থাকার জন্য আদালত ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এর মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অন্য দু’জনের সাজা সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চিত করেছে। ছয়টি নতুন বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে এবং অন্য দু’জন আপিল করতে পারেন।