Naya Diganta

আরো উন্নত সামরিক সরঞ্জাম পাচ্ছে ইউক্রেন

আরো উন্নত সামরিক সরঞ্জাম পাচ্ছে ইউক্রেন

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে ধাপে ধাপে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে চলেছে। রাশিয়ার সাথে সরাসরি সঙ্ঘাত এড়াতে ন্যাটো দেশগুএলা প্রথমে কিছু অস্ত্রের ক্ষেত্রে দ্বিধা দেখালেও পরে সংশয় ঝেড়ে ফেলে সেই অস্ত্রও পাঠিয়ে আসছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে বেসামরিক স্থাপনা ও সাধারণ মানুষের উপর রাশিয়ার লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসের সংযম কমিয়ে দিচ্ছে। সেই প্রবণতার অংশ হিসেবে এবার ইউক্রেনের ডাকে সাড়া দিয়ে ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি আরো উন্নত সাঁজোয়া গাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ সবার আগে ইউক্রেনকে ‘এএমএক্স-১০ আর সি' নামের বিশেষ ধরনের ‘লাইট ট্যাংক' দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর ঠিক পরে ওয়াশিংটন ও বার্লিনও দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে কিছু সাঁজোয়া গাড়ি পাঠানোর ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে কথা বলে এই মর্মে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

জার্মানি ইউক্রেনকে মার্ডার ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিক্যাল নামের সাঁজোয়া গাড়ি দেবে বলে জানিয়েছে। তবে যানের সংখ্যা ও হস্তান্তরের সময় নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। এখনো পর্যন্ত শুধু পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর কাছে থাকা সোভিয়েত আমলের এমন সাঁজোয়া গাড়ি ইউক্রেনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বে তৈরি এই ধরনের সাঁজোয়া গাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলো প্যারিস, বার্লিন ও ওয়াশিংটন। ইউক্রেনের জন্য প্রায় ২৮০ কোটি ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জামের আওতায় আমেরিকা ৫০টি ‘ব্র্যাডলি ট্যাংক' পাঠাচ্ছে।

জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর রোব্যার্ট হাবেক বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি অনুযায়ী অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলোনস্কি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে সাঁজোয়া গাড়ি পাওয়ার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও জার্মান চ্যান্সেলর শলৎসের কাছে পেট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাঠানোর ঘোষণার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এক টুইট বার্তায় তিনি আগেই হাতে পাওয়া আইরিস-টি সিস্টেম ও গেপার্ড বিমান বিধ্বংসী ট্যাংকের জন্য জার্মানির প্রশংসা করেন।

তবে ইউক্রেনের অনুরোধ মেনে জার্মানি এখনো ‘লেপার্ড ২' ব্যাটেল ট্যাংক না পাঠানোর বিষয়ে জেলেনস্কি কোনো মন্তব্য করেননি। আমেরিকাও আপাতত ‘অ্যাব্রামস' ব্যাটেল ট্যাংক পাঠাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও জেলেনস্কি মাক্রোঁ ও বাইডেনের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, এমন ঘোষণার পর ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তার মতে, আমেরিকার সাম্প্রতিক আচরণ দেখিয়ে দিচ্ছে যে তারা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে একেবারেই আগ্রহী নয়।

রুশ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, কিয়েভকে শুধু রক্ষণাত্মক সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে বলে পশ্চিমা বিশ্ব যে দাবি করে আসছে, সেটাও মেনে নেয়া যাচ্ছে না।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে