প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা ২৬ ডিসেম্বরের পর

আগামী ২৬ ডিসেম্বরের পর যেকোনো দিন প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, দীর্ঘ এক যুগ পর চলতি বছর শুরু হচ্ছে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের পর যেকোনো দিন এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এ দিকে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সভা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিও)। সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৯ ডিসেম্বর প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। এর পর ফলাফলের ভিত্তিতে বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করা হবে। বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা প্রবেশপত্র দেয়া হবে। এই কাজগুলো শেষ করতে ৫ থেকে ৬ দিন লাগবে। এরপর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ওই সূত্র আরো জানায়, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের ওপর। বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞান চারটি বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে প্রশ্ন থাকবে। বহু-নির্বাচনী এবং লিখিত দুই ধরনের প্রশ্নই থাকবে। পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ঘণ্টা। ৪০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে লিখিত। আর ৬০ শতাংশ প্রশ্ন হবে এমসিকিউ পদ্ধতির।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, দীর্ঘদিন পর প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। এ জন্য অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। তবে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সাথে পরিচিত করে তুলতে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর এর ভিত্তিতেই বৃত্তি দেয়া শুরু হয়। কিন্তু গত দুই বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। সরকার ঘোষণা করেছে, এ দুই পরীক্ষা আর হবে না।