Naya Diganta

৫০টির বেশি দেশে মাছ রফতানি হয়, গোশত রফতানিও শুরু হচ্ছে : মন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মাছ, গোশত, দুধ, ডিম খাবারের বড় একটি অংশ। এগুলো উৎপাদন না হলে দেশে খাদ্য সঙ্কট হতো। পুষ্টি ও আমিষের যোগানে সঙ্কট তৈরি হতো।

তিনি বলেন, সম্প্রতি যে তিনটি দেশ মৎস্য উৎপাদনে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। প্রাণিসম্পদ খাতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এখন পৃথিবীর ৫০টির অধিক দেশে বাংলাদেশের মাছ রফতানি হয়। কোনো কোনো দেশে মাংস রফতানিও শুরু হচ্ছে। এ খাতে দেশে আন্তর্জাতিক মানের মাননিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার ও গবেষণাগার তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সাভারে বিসিএস লাইভস্টক অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে ৪০তম বিসিএস (লাইভস্টক) ও বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে নতুর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের পাঁচ দিনব্যাপী অবহিতকরণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত না হলে আমাদের বিদেশনির্ভর থাকতে হতো। মাছ আমদানি করতে হতো। কোরবানির চাহিদা মেটাতে ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি করতে হতো। এখন আমরা বিদেশমুখী নই।

তিনি আরো জানান, গ্রামীণ অর্থনীতির সচল রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাত বেকারত্ব দূর করছে। উদ্যোক্তা তৈরি করছে। রফতানি আয় বৃদ্ধি করছে।

নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সে অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের নাগরিকদের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে মেধার সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটাতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও এ টি এম মোস্তফা কামাল, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বিসিএস লাইভস্টক অ্যাকাডেমির পরিচালক ডা. পীযূষ কান্তি ঘোষ।

৪০তম বিসিএসে নতুন যোগদানকৃত লাইভস্টক ক্যাডারের ১৫২ জন এবং মৎস্য ক্যাডারের নবযোগদানকৃত ২৩ জন কর্মকর্তা অবহিতকরণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী নবীন কর্মকর্তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।