Naya Diganta

ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড়

নয়াপল্টনে গ্রেফতার বিএনপি নেতাদের মধ্যে (উপরে বাম থেকে) রুহুল কবির রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস : নয়া দিগন্ত

বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে পল্টন থানার এক মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ১৩ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এছাড়া খুলনায় বিএনপির ৬০ নেতাকর্মী এবং যশোরে বিএনপি ও জামায়াতের ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, হেফাজতে ইসলাম কর্মসূচিতে নাশকতার ঘটনায় পল্টন থানার এক মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ১৩ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ জানান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক শাহ আলম। তিনি জানান, মামলাটির গতকাল ধার্য তারিখ ছিল।
হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের পক্ষে তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নাকচ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অপর ১২ আসামি গরহাজির থাকায় তাদের বিরুদ্ধেও আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সঙ্ঘটিত ঘটনায় পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাস ৬৯ জনের নামোল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন।


খুলনায় ৬০ নেতাকর্মী গ্রেফতার
খুলনা ব্যুরো জানান, খুলনায় গত চার দিনে বিএনপির ৬০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় অধিকাংশ নেতাকর্মী গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন।
বিএনপি দলীয় সূত্র জানায়, পুলিশের অভিযান শুরুর পর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত খুলনা মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৬০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম বলেন, গত চার দিনে পুলিশ ৬০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, গ্রেফতার ও পুলিশের অভিযানের মধ্যেও পাঁচ সহস্রাধিক নেতাকর্মী দু’দিন আগেই ঢাকায় পৌঁছে গেছে। খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, কেন্দ্র থেকে খুলনার নেতাকর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তার পরও নেতাকর্মীরা যে যার মতো ঢাকায় গেছেন। সমাবেশ শেষে আমরা খুলনায় ফিরব।


যশোরে আরো ১৪ জন আটক
যশোর অফিস জানায়, যশোরে নাশকতার মামলায় বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের আরো ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের মধ্যে রয়েছেন কোতোয়ালি থানার মামলায় ৯ জন, মণিরামপুরে চারজন ও ঝিকরগাছায় একজন।
কোতোয়ালি থানার মামলায় ফতেপুরের আব্দুল হালিম, বসুন্দিয়ার আহাদ মোল্লা, নরেন্দ্রপুরের হোসেন নান্নু, ভাতুড়িয়ার পলাশ আলী, একই গ্রামের জসিম উদ্দিন, শহরের সিটি কলেজপাড়ার রবিউল ইসলাম, লেবুতলার রেজাউল ইসলাম, নওয়াপাড়ার দুলাল বিশ্বাস ও অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া গ্রামের ইউসুফ গাজী। তাদের সবাইকে নরেন্দ্রপুরে নাশকতার প্রস্তুতি মামলায় আটক দেখানো হয়েছে।
মণিরামপুর থানার মামলায় যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন, উপজেলার বাঙালিপুর গ্রামের মোমিন উদ্দীন, রতেœরস্বরপুর গ্রামের আব্দুল হালিম, হাকিমপুরের আব্দুল খালেক ও হাজরাকাটি গ্রামের তাজাম্মুল হক ও ঝিকরগাছা থানার মামলায় মাটিকুমড়া গ্রামের শাহাজান সরদারকে আটক করা হয়েছে। তাদের গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।