Naya Diganta

দাখিলে ফরিদপুর জেলার সেরা সাফল্য আইডিয়াল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের

দাখিলে ফরিদপুর জেলার সেরা সাফল্য আইডিয়াল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের।

চলতি বছর প্রকাশিত দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে ফরিদপুর জেলার মধ্যে সেরা ফলাফল অর্জন করেছে আইডিয়াল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। দাখিল পরীক্ষায় ২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৮ জন। এছাড়া মাদরাসার শতভাগ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।

জানা যায়, এবার দাখিল পরীক্ষায় শতকরা ৯৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবার সেরা হয়েছে এই মাদরাসার ছাত্র সাজিদ আব্দুল্লাহ। এর আগে গণিত অলিম্পিয়াডেও সে প্রথম হয়। এছাড়া গতবারের দাখিল পরীক্ষায়ও শতভাগ পাশের রেকর্ড রয়েছে এই মাদরাসার। তাদের এই অভাবনীয় সাফল্যে গর্বিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

জানা গেছে, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আইডিয়াল মাদরাসা। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস অনুসরণ করে পরিচালিত আইডিয়াল মাদরাসায় নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ চালু হয় ২০১৩ সালে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে সব মিলিয়ে ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে আবাসিক ১২০ জন। শিক্ষক রয়েছেন ২৮ জন।

শহরের পশ্চিম খাবাসপুরের মাওলানা আব্দুল আলি সড়কের নিরিবিলি পরিবেশে ৬২ শতাংশ জমির উপর মূল ক্যাম্পাস ছাড়াও চুনাঘাটায় রয়েছে প্রশাসনিক আরেকটি ক্যাম্পাস। সাধারণ শিক্ষা ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে নূরানি ও হিফজের পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও আরবি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের আরবি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। আধুনিক উপকরণ ও সরঞ্জামসহ সাইন্স ল্যাব রয়েছে। নিয়মিত কারিকুলামের পাশাপাশি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও সহ-পাঠ্যক্রমের ওপরেও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ নজর।

আইডিয়াল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস অনুসরণ করে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে সাপ্তাহিক ও মাসিক সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়। নিবিড় তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি কুরআন ও হাদিসের বাস্তব জ্ঞান প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক জীবনে আদর্শ, শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তীতার অনুশীলন এবং নৈতিক মানোন্নয়নে বিশেষ শিক্ষাক্রম পরিচালিত হয়। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের রাত্রিকালীন কোচিং করানো হয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এ প্রতিষ্ঠান একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিভাবকদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে এবং শিক্ষিত জাতি বিনির্মাণেও অবদান রাখছে। ইবতেদায়ি সমাপনী, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ‘এ’ প্লাস এবং বৃত্তিপ্রাপ্তদের জন্য বিশেষ তত্ত্বাবধান করা হয়। অভিভাবকদের সাথে তারা নিয়মিত মতবিনিময় করেন।