Naya Diganta

চরফ্যাসনে এক শিক্ষক দিয়ে চলছে একটি স্কুল

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের চরমানিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে মাত্র একজন সহকারী শিক্ষক দিয়ে। স্কুলটিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও দু’জন সহকারী শিক্ষক কাগজে-কলমে থাকলেও নিয়মিত স্কুল পাঠদান ও উপস্থিত থাকেন মাত্র একজন সহকারী শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা জানান, চরমানিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫৩ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে হাসনাইন আহমেদ মুরাদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং রিয়াজ উদ্দিন ও মাওলানা আবদুল খালেক সহকারী শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু স্কুলে গিয়ে সহকারী শিক্ষক মাওলানা আবদুল খালেককে পাওয়া গেলেও অপর দু’জনকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক মাওলানা আবদুল খালেক জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসনাইন আহমেদ মুরাদ দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। এ জন্য স্কুলে আসেন না। সহকারী শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ভোলায় পিটিআইতে প্রশিক্ষেণ আছেন। এক অভিভাবক মাকসুদ আকন্দসহ অনেকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসনাইন আহমেদ মুরাদ ও সহকারী শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন স্কুলে না এসে নিয়মিত বেতনভাতা নিচ্ছেন।
এ দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসনাইন আহমেদ মুরাদ জানান, তিনি অসুস্থ, তাই নিয়ম মোতাবেক ছুটিতে আছেন। শিক্ষক সঙ্কটের বিষয়ে তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো ফলাফল পাননি বলে জানান।
এলাকাবাসী চরমানিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখা-পড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি কর্মরত যারা স্কুলে না এসে নিয়মিত বেতনভাতা নিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তপে কামনা করেছেন।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, নতুন শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে। ডিসেম্বরে নিয়োগ হতে পারে, নিয়োগ হলে শিক্ষক সঙ্কট কেটে যাবে। তা ছাড়া অন্য অভিযোগগুলো তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।