Naya Diganta
সওজ’র জমিতে দোকানবাণিজ্য

দেখার কেউ নেই!

সওজ’র জমিতে দোকানবাণিজ্য

সহযোগী একটি দৈনিকের সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতার পাঠানো খবর- যার শিরোনাম ‘সওজ’র জমিতে লাখ লাখ টাকার দোকানবাণিজ্য।’ এতে বলা হয়, মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে বাণিজ্যিকভাবে দোকান বরাদ্দ দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। তবে নিজের জায়গায় দোকান নির্মাণ ও বরাদ্দ দিয়েছেন- এমন দাবি তার। জেলা সওজ থেকে এসব দোকান উচ্ছেদের নোটিশ সত্ত্বেও কোনো কাজ হয়নি।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলা শহরের প্রবেশদ্বারের উল্টোদিকে নবীন সিনেমা হল ও নবীন কমপ্লেক্স। এদের সামনেই গড়ে উঠেছে অবৈধ কাপড়ের দোকানগুলো। এখানে প্রতি ৫ ফুট জায়গার জন্য তিন লাখ বা ততোধিক টাকা নেয়া হয়েছে জামানতের নামে। তার পরই দোকান বরাদ্দ করা হয়েছে। তদুপরি বর্তমানে দোকানপ্রতি তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে মাসে মাসে ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। এখানকার এক ব্যবসায়ী বলেছেন, তিনি (মালিক) অত্যন্ত ক্ষমতাবান মহিলা যার সাথে কিছু বড় বড় মানুষের সম্পর্ক থাকায় ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। দোকান বরাদ্দ নিয়ে আমাদের ন্যায় ১৫-২০ জন ব্যবসায়ী থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা জামানত নেয়া হয়। কিন্তু এখন সে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানাসহ নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে। অভিযুক্তের ম্যানেজার দাবি করেন, এ সম্পত্তি ওই নারীর। এটি তার নিজস্ব সম্পত্তি এবং প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা চুক্তিপত্র আছে। ব্যবসায়ীরা মাসে মাসে ভাড়া দিচ্ছেন যে টাকা আমি তুলে মালিককে পৌঁছে দিই। অথচ জনৈক ব্যবসায়ী বলেছেন, এখন যে জায়গাতে আমরা দোকান করছি, সেখানে টিনশেড ওয়ালের জন্য ১৫ লাখ টাকা জামানত দিতে হয়েছে। মাসে মাসে মোটা অঙ্কের টাকা ভাড়া হিসেবে দিচ্ছি। তবে এখন বোঝা যায়, এটি ব্যক্তি বিশেষের নয়, সরকারি জায়গা। জামানতের টাকা না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ঘোরানো হচ্ছে। জানা যায়, সড়ক বিভাগ ব্যবসায়ীদের অপসারণের নোটিশ দেয়ায় তারা খুব টেনশনে। গরিব ব্যবসায়ীরা কোথায় যাবেন, এটাই বড় প্রশ্ন। অপর দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, কারো কাছ থেকে কোনো জামানতই নেয়া হয়নি। ‘তারা গরিব, তাই নিজের জায়গায় তারা আজ দোকান দিয়েছে। ম্যানেজার মাসিক ভাড়া তুলে থাকে। সরকার মেপে জায়গা পেলে তা নিয়ে যাবে।’ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘এ জায়গা সড়ক বিভাগের। তাই দোকান সরাতে নোটিশ দিয়েছি। অন্যথায়, দ্রুত তাদের উচ্ছেদ করা হবে।’
এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা তদন্ত করে নেয়া হবে বলে সবাই আশাবাদী। বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না।