Naya Diganta

স্বামীর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রেমিকার হাত ধরে উধাও স্ত্রী

স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

ব্যবসায়ী স্বামী আল আমীন মৃধার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে প্রেমিক অলি উল্লাহ গাজীর হাত ধরে উধাও হয়েছেন স্ত্রী রুমা আক্তার।

মঙ্গলবার স্বামী মো: আল আমীন মৃধা আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো: আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে আমতলী উপজেলার চাওড়া পাতাকাটা গ্রামের আব্দুল খালেক মৃধার প্রবাসী ছেলে আল আমীন মৃধার সাথে তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চান্দখালী গ্রামের রিপন মৃধার মেয়ে রুমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই স্বামী আল আমীন মৃধা দুবাই চলে যান।

স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রী রুমা আক্তার আমতলী পৌর শহরের সিলভার ব্যবসায়ী আউয়াল গাজীর ছেলে অলি উল্লাহ গাজীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে জানাজানি হয়। স্ত্রীকে অনৈতিক পথ থেকে নিবৃত করতে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়। কিন্তু স্ত্রী রুমা তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরে আসেননি।

২০১৮ সালে আল আমীন মৃধা দেশে ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করেন। গত রোববার স্ত্রী রুমা আক্তার স্বামীর ঘর থেকে নগদ দু’লাখ ২০ হাজার টাকা ও আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে প্রেমিক অলি উল্লাহ গাজীর হাত ধরে পালিয়ে গেছেন।

মঙ্গলবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্বামী আল আমীন মৃধা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে স্বামী আল আমীন মৃধা রুমা আক্তার ও তার প্রেমিক অলি উল্লাহ গাজীসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

আদালতের বিচারক মো: আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্ত্রী রুমা আক্তার মুঠোফোনে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আল আমীন নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

রুমার বাবা রিপন মৃধা বলেন, আল আমীন আমার মেয়ের স্বামী। এখন শুনতে পাচ্ছি মেয়ে জামাতাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু মেয়ে কোথায় আছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়ের খবর আমি জানি না।

আমতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তদন্তকারী অফিসার রুপ কুমার পাল বলেন, আদালতের নথিপত্র পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।