Naya Diganta

রুশ হামলায় বিধ্বস্ত পাওয়ার গ্রিড পুনরুদ্ধারের চেষ্টা ইউক্রেনের

রুশ হামলায় বিধ্বস্ত পাওয়ার গ্রিড পুনরুদ্ধারের চেষ্টা ইউক্রেনের

রাশিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর ইউক্রেন মঙ্গলবার বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করার জন্য কাজ করেছে। দেশটিতে তীব্র ঠাণ্ডায় বরফ জমছে এবং তাপমাত্রা ক্রমশ নেমে যাচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, মস্কো যে ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে তার মধ্যে ‘অধিকাংশ’ গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে, তবে এ সব হামলায় ইউক্রেনের অবকাঠামো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ইউক্রেনারগো টেলিগ্রামে বলেছে, ‘হামলার কারণে’ সব অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

ইউক্রেনারগোর প্রধান বলেছেন, তার ‘কোনো সন্দেহ নেই যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় আঘাত হানবে তা নির্ধারণের জন্য রাশিয়ান সামরিক বাহিনী এই আক্রমণের সময় রাশিয়ান বিদ্যুৎ প্রকৌশলীদের সাথে পরামর্শ করেছিল’।

‘রাশিয়ানরা এই আক্রমণের জন্য যে সময়টি বেছে নিয়েছিল তা তাদের যতটা সম্ভব ক্ষতি করার আকাঙ্ক্ষার সাথে যুক্ত ছিল’ এ কথা উল্লেখ করে ভলোদিমির কুদ্রিতস্কি একটি ইউক্রেনীয় নিউজ প্রোগ্রামকে বলেছেন, দেশটি একটি ‘চরম তুষারপাতের’ সময়ের মধ্যে প্রবেশ করার সাথে সাথে আক্রমণগুলো চালানো শুরু করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মেরামতকারীরা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে কাজ করবে।’

ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কয়েক মাস ধরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বাইরের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) নিচে নেমে যাওয়ায় মানুষকে এ সময়ে ঠাণ্ডা এবং অন্ধকারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করতে হচ্ছে।

কিয়েভের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি হওয়ায়, জাতিসঙ্ঘের অধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক সপ্তাহান্তে চার দিনের সফরে ইউক্রেন এসেছিলেন, তাকে কর্মীদের সাথে তার মিটিংকে একটি ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে স্থানান্তর করতে হয়েছিল।

জেলেনস্কি তার রাতের ভাষণে ঘোষণা করেছিলেন যে রাশিয়ার হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। তবে ‘আমাদের লোকেরা কখনোই হাল ছাড়বে না’ প্রেসিডেন্ট একটি ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন।

রাশিয়ার সারাতোভ এবং রিয়াজান অঞ্চলে ড্রোন হামলার জন্য মস্কো ইউক্রেনকে দায়ী করেছে যা তার দুটি বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তিন সেনা নিহত হন।

একই সময়ে রাশিয়া ‘ইউক্রেনের সামরিক কমান্ড সিস্টেম এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ এবং সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক আক্রমণ’ চালিয়েছে।
সূত্র : বাসস