Naya Diganta

এমবাপ্পের জোড়া গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে নকআউট পর্বের জয়ে এগিয়ে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ফেবারিট হিসেবে শুরু করা লেস ব্লুজরা গ্রুপ পর্বে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে পরাজিত হলেও নকআউট পর্ব শুরু করেছে দুর্দান্তভাবে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল দিদিয়ের দেশমের দল। কিলিয়ান এমবাপ্পে দু’টি ও জিরুড গোল করেন। পোল্যান্ডের হয়ে একটি গোল শোধ করেন রবার্ট লেভানোদস্কি।
আল থুমানা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪ মিনিটে গ্রিজম্যানের ফ্রি কিকে ভারনের হেড গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ১৩ মিনিটে চৌয়ামেনির শটে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোলিশ গোলরক্ষক সিজনি। ২১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে পোল্যান্ডের লেভানোদস্কির শট বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ২৯ মিনিটে সহজ সুযোগ মিস করেন অলিভার জিরুড। বাম পাশ থেকে ডেম্বেলের বাড়ানো বলে গোলমুখে পা স্পর্শ করলেও বল চলে যায় সাইডবারের বাইরে দিয়ে।
৩৮ মিনিটে পোল্যান্ডের আক্রমণে একসাথে ট্রিপল সেভ করে রক্ষা ফ্রান্সের। প্রথমে জিয়েলিনস্কির শট রুখে দেন হুগো লরিস। এরপর কামিনিস্কির শট ঠেকিয়ে দেন ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারনে। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন অলিভার জিরুড। ডি বক্সের বাইরে থেকে এমবাপ্পের পাস থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শট খুঁজে পায় পোল্যান্ডের জালের ঠিকানা। সেই সাথে ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যান তিনি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে থিয়েরি অঁরির করা ৫১ গোলকে টপকে এককভাবে ৫২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসেন জিরুড। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে পোলিশরা। তবে ম্যাচে আধিপত্য ছিল ফ্রান্সের। ৪৮ মিনিটে গ্রিজম্যানের শট পোলিশ গোলরক্ষক রুখে দিলেও ফিরতি বলে হার্নান্দেজের শট গোলবার ঘেঁষে চলে যায়। ৫৬ মিনিটে এমবাপ্পের শটও পোস্টের বাইরে চলে যায়। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি এমবাপ্পেকে। ডেম্বেলের বাড়ানো বল থেকে গোল করে দলে ২-০তে এগিয়ে দেন তিনি। ম্যাচের ৯১ মিনিটে বক্সের ভেতরে মার্কাস থুরামের পাস থেকে গোলরক্ষক সিজনিকে হতবাক করে দারুণ এক গোল করে স্কোরলাইন ৩-০ করেন এমবাপ্পে। চলতি বিশ্বকাপে পাঁচ গোল দিয়ে এখন পর্যন্ত এককভাবে শীর্ষে রয়েছেন এমবাপ্পে।
সেই সাথে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে এমবাপ্পে। ম্যাচের ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর উপামেকানোর হ্যান্ডবলে রেফারি ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে পোল্যান্ডের হয়ে সান্ত¡নাসূচক গোল করে ৩-১ ব্যবধান কমান বার্সা তারকা লেভানোদস্কি। এই জয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করল গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।