Naya Diganta

ইসরাইলি গুলিতে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর তদন্ত দাবি ইইউর

অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ সংস্থাটি বলেছে যে তারা এ অঞ্চলে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনাগুলো নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তারা ২০২২ সালকে একটি প্রাণঘাতী বছর হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
টুইটারে এক বিবৃতিতে ইইউ বলেছে যে ইসরাইলি বাহিনী অতিরিক্ত মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ৭২ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পূর্বজেরুসালেমসহ অধিকৃত পশ্চিমতীরে সহিংসতার ক্রমবর্ধমান মাত্রা নিয়ে ইইউ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ ইউরোপীয় এ সংস্থাটি বলেছে, ২০২২ সাল ছিল ২০০৬ সালের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী বছর। এ সময় অধিকৃত পশ্চিমতীর এবং পূর্বজেরুসালেমে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে ১৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অধিকৃত অঞ্চলে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ। এসব বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় অবশ্যই তদন্ত করতে হবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
শুক্রবার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গেছে, নাবলুস শহরের দক্ষিণে হুওয়ারা শহরে এক ইসরাইলি সৈনিক এক ফিলিস্তিনির সাথে ধস্তাধস্তি করছে। এ সময় ওই ফিলিস্তিনি পালানোর চেষ্টা করলে তাকে গুলি করে হত্যা করেন সেই ইসরাইলি সৈনিক। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পশ্চিমতীরে ব্যাপক সহিংস ঘটনা সঙ্ঘটিত হয়েছে। এ সময় ইসরাইলি সেনারা ওই অঞ্চলে বারবার অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তারা পশ্চিমতীরের কিছু ফিলিস্তিনিকে আটক করার চেষ্টা করেছে এবং তাদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে।
এ দিকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে রকেট হামলার অভিযোগে অধিকৃত পশ্চিমতীরে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে গাজা উপত্যকায় বোমা ফেলা হয়েছে। রোববার ভোররাতে হামাসের অস্ত্র তৈরির স্থাপনা এবং ভূগর্ভস্থ একটি সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পক্ষ থেকে ইসরাইলের জঙ্গিবিমান লক্ষ্য করে পাল্টা রকেট ছোড়া হয়। এ ছাড়া, ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে হামাস পাঁচটি রকেট ছোড়ে। পরে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইসরাইলের জঙ্গিবিমানের শত্রুতামূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে আমাদের বিমান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জবাব দিয়েছে।’