Naya Diganta

এইডসমুক্ত বিশ্বের প্রত্যাশা

এইডসমুক্ত বিশ্বের প্রত্যাশা।

বিশ্ব এইডস দিবস প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে ১৯৮৮ সাল থেকে। এ বছরের প্রতিপাদ্য, অসমতা দূর করি, এইডসমুক্ত বিশ্ব গড়ি’। এজন্য সবাইকে টেস্টের আওতায় আনতে হবে। সমতা অর্জন করে এইচআইভি নির্মূল করতে হবে।

অসাম্যের সমাপ্তি না ঘটাতে পারলে এইডস বা এইচআইভি নির্মূল করা যাবে না। এইচআইভি সংক্রমণের জন্য এইডস এর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও এ রোগে মৃতদের জন্য শোক পালন করতে এই দিনটি বেছে নেয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দিনটি পালন করা হয়।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এইডস সম্পর্কিত বিশ্ব কর্মসূচির দু’জন তথ্য কর্মকর্তা জেমস ডব্লিউ বুন এবং টমাস নেটটার ১৯৮৭ সালের আগস্টে প্রথম বিশ্ব এইডস দিবস পালনের প্রস্তাব করেছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, ১৯৮৮ সাল থেকে পৃথিবীতে তিন কোটি আট লাখ মানুষ এইচআইভি নিয়ে বেঁচে আছেন, মৃত্যু হয়েছে সাড়ে তিন কোটি মানুষের। কেবল যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১০ লাখ লোকেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল এই এইডস যা ২৫-৪৪ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর কারণ। ১৯০টিরও বেশি দেশে এইডস ছড়িয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১১ সালের মধ্যে পৃথিবীতে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছয় কোটি ছাড়িয়ে গেছে, যার তিন কোটিই ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে। এসব রোগীর শতকরা ৭০ ভাগই আফ্রিকার এবং ২০ শতাংশ এশিয়ার অধিবাসী। এই ২০১১ সালেই বিশ্বব্যাপী নতুন করে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ যার মধ্যে ১৭ লাখ মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে ইদানীং এই রোগ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

২০০৭ সালের গণনা অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী আনুমানিক তিন কোটি ৩২ লাখ মানুষ এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে যাদের মধ্যে তিন লাখ ৩০ হাজার ছিল শিশু। এর তিন-চতুর্থাংশেরই মৃত্যু ঘটেছে আফ্রিকার সাহারা-নিম্ন ও অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর অঞ্চলে।

এইডসকে মহামারী হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বিশ্বের বিশাল অংশজুড়ে সক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এইচআইভি ভাইরাসটি সম্ভবত ১৯ শতকের শেষভাগে বা ২০ শতকের শুরুর দিকে পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকায় উৎপত্তি লাভ করে। ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি সর্বপ্রথম রোগটি শনাক্ত করে এবং তার পরে ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে এই রোগের কারণ হিসেবে এইচআইভি ভাইরাসকে শনাক্ত করা হয়। সিডিসি’র ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এইচআইভি আক্রান্তের ৭০ শতাংশই সমকামী এবং উভয়কামী পুরুষ।

শুধু ২০১৮ সালে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ যার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১৬ লাখ। এ সময় এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সাত লাখ ৯০ হাজার মানুষের। শতকরা ২ ভাগ শিশুও আক্রান্ত হচ্ছে পৃথিবীব্যাপী। ২০০৬ সালে বিশ্বের পাঁচ লাখ শিশু এইডসে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে চার লাখই মারা গেছে। শিশুদের বেশির ভাগই মা থেকে সংক্রমিত হয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত যৌনমিলন, বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন নেয়া এবং আক্রান্ত মা- মূলত এই তিন পথে মানুষের শরীরে এইডস প্রবেশ করে।
ইউএন এইডস (ইউনিসেফের একটি শাখা)-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, শুধু ২০২১ সালে প্রায় দেড় কোটি মানুষের এইচআইভি এইডস সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল; যার মধ্যে ছয় লাখ ৫০ হাজার মানুষ এই সংক্রমণ সম্পর্কিত রোগের কারণে মারা গেছে।

বাংলাদেশে এইডস
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫১৩। এর ৬৭ শতাংশকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ চিকিৎসার আওতায় আছেন। যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের ৯০ শতাংশের শরীরের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে।

দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০০০ সালে। ওই বছর একজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর থেকে প্রায় প্রতিবছর এইডসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।

২০২১ সালে দেশে এইডসে ২০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে কোনো বছর এত মানুষের মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে দেশে এইডসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ৮২০।

তবে বৈশ্বিকভাবে এইচআইভি সংক্রমণ কমছে। বাংলাদেশে সংক্রমণের হার ০.০১ শতাংশের নিচে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ১২ লাখ ৯১ হাজার ৬৯ জনের এইচআইভি/এইডস শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৮৯।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে গত বছর নতুনভাবে এইচআইভি সংক্রমিত ৭২৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪২০ জন, নারী ২১০ ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ জন। গত এক বছরে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠীর ১৮৬ জন (২৬%), রোহিঙ্গা ১৮৮ জন (২৬%), বিদেশফেরত প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্য ১৪৪ জন (২০%), ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী ৬১ জন (৮%), নারী যৌনকর্মী ১৭ জন (২%), সমকামী ৬৭ জন (৯%), পুরুষ যৌনকর্মী ৫৩ জন (৭%) ও ট্রান্সজেন্ডার ১৩ জন (২%) রয়েছেন।

বিবিএস জরিপে উঠে এসেছে, দেশে ১৪ হাজারেরও বেশি এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছেন। চিকিৎসার আওতায় এসেছেন ৮৪ শতাংশ। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালে বাংলাদেশে মৃত্যু হয় ২০৫ জনের।

দেশে প্রতি বছরই বাড়ছে এইচআইভি শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা। এমন প্রেক্ষাপটে দেশে এইডস দিবস পালিত হলো।

এইচআইভি সংক্রমণ সারানোর কোনো উপায় এখনো আবিষ্কার হয়নি। এই রোগের চিকিৎসাও অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও আমৃত্যু চালিয়ে যেতে হয়। তবে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয়, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, চিকিৎসায় এইচআইভি আক্রান্তদেরও স্বাভাবিক, সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।

এইডস কী
একোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম (এইডস) এইচআইভি নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট একটি আমৃত্যু রোগ লক্ষণসমষ্টি, যা মানুষের দেহে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস করে এবং নিউরোলজিক্যাল এবং সেকেন্ডারি ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ। এইডস রোগটিকে আধুনিক যুগের প্লেগও বলা যেতে পারে। এর ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যেকোনো সংক্রামক রোগ ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটাতে পারে।

কীভাবে রোগটি ছড়ায়
পাঁচ গ্রুপের লোকজন এইডস ঝুঁকিতে আছেন। প্রথমত, সমকামী, উভয়গামী এবং অবৈধ পলিগামীরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ এইডস রোগী এর জন্য দায়ী। কারণ ওখানকার এইডস আক্রান্ত বেশির ভাগ পুরুষ সমকামী। এসব পাপাচার রোগীর রোগ ছড়ায় মূলত দু’টি পথে। একটি হলো সরাসরি যৌন ট্রমা হয়ে স্কিন বা মিউকাস মেমব্রেন ভেদ করে, অপরটি হলো সরাসরি স্কিন বা মিউকাস মেমব্রেনের নিচে ডেন্ড্রাইটিক কোষ বা সিডি৪+ কোষকে আক্রান্ত করে।

এইডস রোগটি হলো বিকৃত যৌনপ্রেমীদের বিরুদ্ধে প্রকৃতির এক চরম প্রতিশোধ।

দ্বিতীয়ত, এই রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হলে বা নেশার সময় একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক গ্রহণের ফলে এই রোগের আশঙ্কা থাকে।

সংক্রমিত ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করা ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও শিরায় প্রবেশ করা মাদকসেবীদের কারণে শতকরা ২০ ভাগ এইডস হয়ে থাকে। সুস্থ ব্যক্তির দেহে ব্যবহারের ফলেও এ রোগ দেখা দেয়।

তৃতীয়ত, এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির রক্ত অন্য সুস্থ মানুষের দেহে ট্রান্সফিউসনের মাধ্যমে প্রবেশ করালে ওই সুস্থ ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে যায়। বিশেষ করে হিমোফিলিয়া বা থেলাসেমিয়া রোগীদের অনেক ঘন ঘন রক্ত নিতে হয় বিধায় তাদের সম্ভাবনা অন্যদের থেকে বেশিই থাকে।

তিন গ্রুপের লোক সাধারণত আক্রান্ত হয়। এরা হলেন মাদকসেবী, যারা শিরার মাধ্যমে মাদক শরীরে ঢুকায়, হিমোফিলিয়া রোগী যাদের সবসময় রক্ত গ্রহণ করতে হয় এবং থেলাসেমিয়া বা অন্য কারণে যারা রক্ত নিয়ে থাকে।

চতুর্থত, এইচআইভি আক্রান্তের মাড়ির ক্ষত ও দেহের ক্ষত থেকে নিঃসৃত লালা এবং রস থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।

এছাড়াও রক্ত, বীর্য, ভেজাইনাল সিক্রেশন, অ্যানাল ফ্লুইড, ব্রেস্ট মিল্ক থেকেও এই ভাইরাস ছড়ায়।
পঞ্চমত, সংক্রমিত মহিলারা গর্ভকালীন সময়ে সরাসরি প্লাসেন্টা থেকে শিশুর শরীরে, ডেলিভারি হবার কালে এবং বুকের দুধ- এই তিনভাবে তাদের শিশুদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে থাকে।

সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন মিলনে অন্যের মধ্যে এই মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রক্ত বা যৌন নিঃসরণ সরাসরি শরীরে প্রবেশ না করলে এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব কম। স্পর্শ, একসাথে খাওয়া, এমনকি একই জামাকাপড় পরা বা মশার কামড়ে কখনো এইচআইভি ছড়ায় না। এইচআইভি ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না বা আক্রান্ত ব্যক্তি কাশি, হাঁচি বা থুতু দিলে তা ছড়ায় না। এ ছাড়া এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তির সঙ্গে সুইমিং পুলে গোসল করা, তার জামাকাপড় ধোয়া এমনকি তার নোংরা পানি পান করলেও এই সংক্রমণ ছড়ায় না।

এইচআইভি শরীরের কোন সিস্টেমের ওপর কাজ করে
এইচআইভি ভাইরাসের মূল টার্গেট হলো ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। আমাদের শরীরকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষার জন্য লিম্ফনোড, বোন ম্যারো, থাইমাস ইত্যাদি ধরনের অর্গান দিয়ে সারা শরীরকে সুরক্ষা দেয়া আছে। মানুষের যেসব অঙ্গ বহির্জগতের সাথে সরাসরি সংযুক্ত ওইসব পথে প্রাকৃতিকভাবেই অসংখ্য লিম্ফনোড কিংবা শ্বেতকনিকা পাহাদারের ভূমিকা পালন করে। আর এইচআইভি জীবাণু এসব পাহাদারকেই আক্রান্ত করে মেরে ফেলে বা দুর্বল করে ফেলে। এখন পর্যন্ত এইডসের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।

এইডস রোগটিকে মোটামুটি তিনটি ফেজে ভাগ করা যায়।
প্রথমত, একিউট রেট্রোভাইরাল সিন্ড্রম, দ্বিতীয়ত, ক্রনিক বা উপসর্গহীন ফেজ, তৃতীয়ত, ক্লিনিক্যাল এইডস ফেজ যখন বিভিন্ন সুবিধাবাদী রোগজীবাণু শরীরের বিভিন্ন সিস্টেমকে আক্রান্ত করে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

এইচআইভি সংক্রমণের লক্ষণ
ওজন কমে যাওয়া এবং অনবরত দুর্বলতা অনুভব করা। এটি ওয়াসটিং সিনড্রোম নামেও পরিচিত।
স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হওয়া। ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে ব্রেনে সংক্রমণের কারণে। বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। রাতের বেলায় শরীর প্রচণ্ড ঘেমে যাওয়া। সারা শরীরের কিংবা কিছু স্থানের লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া। দিনের পর দিন ডায়রিয়া চলতে থাকা। জিহ্বা বা মুখ আক্রান্ত হওয়া।

চিকিৎসা
এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই কোনো লক্ষণ ছাড়া এই রোগ বহন করে। এইচআইভি ভাইরাস কোনো রকম লক্ষণ ছাড়াই সর্বোচ্চ ১০ বছর মানুষের শরীরে নীরবে বাস করতে পারে।

একবার এইডসে আক্রান্ত হলে তাকে আজীবন চিকিৎসায় থাকলেও তা নিরাময় হয় না। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে মৃত্যুর সম্ভাবনা কয়েক বছর পিছিয়ে দেয়া যায়।

এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ভাইরাস যেন পূর্ণাঙ্গ এইডসের দিকে অগ্রসর হতে না পারে বা যাদের এইডস হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এআরটি থেরাপি অর্থাৎ এন্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

লেখক : স্বাস্থ্যবিষয়ক নিবন্ধকার ও কলামিস্ট