Naya Diganta

ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণগুলো বন্ধ করবে ইরাক : ইরাকের প্রধানমন্ত্রী

তেহরানে অভ্যর্থনা জানানোর সময়ে ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ইরানের প্রেসিডেন্ট

ইরাকের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ শিয়া আল-সুদানি ইরান সফরকালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনিসহ ইরানের অন্যান্য উচ্চপদস্থ নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। ইরাকের সংসদ কর্তৃক সরকার প্রধান নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে এটিই ছিল আল-সুদানির প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফর।

খামেনির সাথে সাক্ষাতের পর সুদানি সাংবাদিকদের বলেন, ইরাক তাদের ভূখণ্ডের অভ্যন্তর থেকে তাদের প্রতিবেশীর ওপর কোনো আক্রমণ চালাতে দিবে না এবং তাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে দু’দেশের অভিন্ন সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইরাকের সংবিধান প্রয়োগ করতে এবং কোনো গোষ্ঠী বা দলকে ইরানের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করা থেকে বিরত রাখতে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানান, সরেজমিনে অভিযানগুলোর সমন্বয় করতে ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইরানের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

সুদানি আরো বলেন, বাস্তবে সমস্যাগুলো সমাধান করতে আলোচনা ও পরস্পর সমঝোতাই সর্বোত্তম নীতি বলে ইরাক মনে করে।

খাত্তার আবু দিয়াব প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি ভিওএ-কে বলেন, ইরাক ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক পুরোপুরি ভারসাম্যহীন এবং প্রধানমন্ত্রী সুদানি ইরানের একজন রাজনৈতিক মিত্র যিনি তার সরকারের কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি দিতে ইরানে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, সুদানি-কে প্রধানমন্ত্রী বানানোর পেছনে ইরানের হাত রয়েছে, যদিও শিয়া মুসলিম ধর্মগুরু মুক্তাদা আল-সদর-এর মিত্ররা সংসদীয় নির্বাচনে জয় লাভ করেছে। তিনি বলেন, অভিযোগ রয়েছে যে, তারা সদর ও ইরানে বসবাসকারী তার পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল, যাতে করে সদর প্রধানমন্ত্রী মনোনীত না করেন এবং যাতে করে ইরাকের সরকারের ওপর ইরানের প্রভাব থাকে। তিনি যুক্তি দেখান যে, সুদানি এমনভাবে ইরান সফর করছেন, যে মনে হচ্ছে এক সুপুত্র বাড়ি ফিরে আসছে।

আবু দিয়াব জোর দিয়ে বলেন, ইরানের সাথে দেনদরবারে ইরাকের কোনো ক্ষমতাই নেই এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক- উভয় ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যকার সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন সম্পর্কের কারণে, ইরান যা সিদ্ধান্ত নিবে তাই ইরাককে মেনে নিতে হবে।

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা