Naya Diganta

কেরানীগঞ্জের ফয়সলের লাশ নিলেন না মা ও স্ত্রী, সিলেটে দাফন

প্রায় পাঁচ বছর আগে মা-স্ত্রীকে ফেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জের যুবক মো: ফয়সল আহমদ (৩৫) বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর আর বাড়ি ফিরেননি। ভবঘুরের মতো এখানে-ওখানে ঘুরে লাশ হয়ে পড়েছিলেন সিলেটের সুরমা নদীতে। মৃত্যুর খবরটি মা-স্ত্রীকে দেয়া হয়। কিন্তু এত দিনে স্ত্রী চলে গেছেন স্বামী ফয়সলের বাড়ি ছেড়ে। ভাটা পড়েছে সন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহেও। এজন্য মৃত্যুর পর মা ও স্ত্রী লাশ নিতে আগ্রহী হলেন না। পরে ওই যুবকের লাশের দাফন হলো সিলেট নগরের মানিকপীর টিলায়।


এর আগে গত সোমবার সকালে নগরের শেখঘাট এলাকার সুরমা নদী থেকে মো: ফয়সল আহমদ নামের ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের পরনের প্যান্টের পকেটে পাওয়া যায় একটি এনআইডি কার্ড ও চিরকুট। এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে মৃত যুবকের নাম ফয়সল আহমদ বলে শনাক্ত করা হয়। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার কুশিয়ারবাগ এলাকার আব্দুল মোতালিব ও আঁখি বেগমের ছেলে। এনআইডি কার্ডের সাথে চিরকুটে মা আঁখি বেগমের মোবাইল ফোন নম্বর লিখে রেখেছিলেন ফয়সল। লাশ উদ্ধারের পর পিবিআই ও সিআইডির প্রচেষ্টায় লাশটি ফয়সল আহমদের বলেই শনাক্ত হয়। পরে লাশের সাথে থাকা আঁখি বেগমের মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়ে বিস্তারিত জানায় পুলিশ এবং লাশ নিতে অনুরোধ করে। কিন্তু আঁখি বেগম ছেলের লাশ নিতে অসম্মতি জানান। ফয়সলের মায়ের কাছ থেকে তার স্ত্রীর ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনিও পুলিশকে লাশ নিতে অসম্মতি জানান।


এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মো: আজিজুল হক বলেন, এটি কোনো অস্বাভাবিক বা রহস্যজনক মৃত্যু নয়। লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। লাশ নেয়ার জন্য মা-স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করলেও তার কেউই লাশ নিতে রাজি হননি। তাই পুলিশের উদ্যোগে মানিক পীর টিলায় লাশ দাফন করা হয়েছে।