Naya Diganta

কুইরোজকে দেরিতে পাওয়াই ছিল ইরানের সমস্যা

এশিয়ার অন্যতম ফুটবল শক্তি ইরান। বিশ্বকাপে তাদের উপস্থিতি ১৯৭৮ এর আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত আসর থেকে। এর পর ১৯৯৮ এবং ২০০৬ সালে কোয়ালিফাই করে। ২০১৪ সাল থেকে তারা এই টুর্নামেন্টের নিয়মিত সদস্য। তবে এশিয়ার অন্যতম সেরা ফুটবল দল হওয়া সত্ত্বেও তাদের পক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা হয়নি। এবার ইংল্যান্ডের কাছে ২-৬ গোলে হারে। ওয়েলসকে দ্বিতীয় ম্যাচে ২-০ গোলে উড়িয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এক পয়েন্টও পাওয়া হয়নি তদের।
থুমামা স্টেডিয়ামে অনেক পরে ইরানের ফুটবলাররা এলেন দল বেঁধে। মিক্সড জোনটি আঁকাবাঁকা পথের। ইরানি ফুটবলাররা মুখে তালা লাগিয়েই হাঁটলেন। দুই, রাজনৈতিক কারণে চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্র্রের কাছে হার। আলী দায়ি, খোদাদাদ আজিজি, মেহদী মাহদোভেকিয়ারা ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ২-১ গোলে হারিয়েছিল মার্কিনিদের। তবে এবার উল্টো হার জার্মান ক্লাব বায়ার্ন লেভারকুজেনে খেলা ফরোয়ার্ড সরদার আজম আউনদের।
মেহদী তারেমির সাথে আমি কথা বলতে গিয়ে ব্যর্থ। বাকিরা কোনো কথাই বললেন না। ফলে ইরান দলের দোভাষীই ভরসা। তার মতে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয়ের দারুণ সুযোগ হারালাম। গোল মিসের সাথে অগণিত ভুল পাসই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়তে বাধ্য করেছে আমাদের। এরপর যোগ করেন, ‘আসলে কোচ কুইরোজকে আমরা পেয়েছি অনেক পরে। মাত্র ৮০ দিন আগে। তিনি তো সময়ই পাননি দলটি গোছাতে। অন্য দুই আসরের মতো সময় পেলে রেজাল্ট আরো ভলো হতো।’ উল্লেখ্য, ব্রাজিল এবং রাশিয়া বিশ্বকাপেও ইরানের কোচ ছিলেন এই পর্তুগিজ কুইরোজ। সেখানেও গ্রুপ পর্বে বিদায় এশিয়ার দেশটির।
কাশেম আকরান যোগ করেন, আমরা প্রথম ম্যাচে ইংর‌্যান্ডের কাছে বাজে হারের পরও ওয়েলসকে হারিয়ে দারুন ভাবে রেসে ফিরে আসি নকআউটে যাওয়ার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ন্যূনতম ড্র করার সুযোগ হারাতে হলো একের পর এক গোল মিসের কারণে। আমরা খুবই হতাশ এই হারে। সে সাথে আফসোস হচ্ছে এখনো বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে না পারায়।
বিপরীতে বেশ উৎফুল্ল ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলাররা। তারা গত বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই-ই করতে পারেনি। এবার একেবারে অপরাজিত থেকেই পরের রাউন্ডে যওয়া। গোলরক্ষক ম্যাথ টার্নার বলেন, দারুণ আনন্দিত এই জয়ে। জয় ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্পও ছিল না। শেষ দিকে ইরান বেশ চাপ দিলেও আমরা সে থেকে দলকে রক্ষা করেছি।