Naya Diganta

কেরানীগঞ্জে জমি বিক্রির কথা বলে প্রবাসীর সাথে প্রতারণা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে জমি বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে আল আমীন খন্দকার নামে এক ইতালী প্রবাসীর সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এক খণ্ড জমি কেনার জন্য ওই প্রবাসী বায়না করে নগদ টাকা দেন। এখন আর তাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হচ্ছে না। জমি রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দেয়া হলে প্রতারক চক্রটি বায়নার কথাও অস্বীকার করছে। এ ঘটনায় প্রবাসী আল আমীন খন্দকারের ছোট ভাই সুমন খন্দকার বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এতেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানায় বাদিপক্ষ।
ভুক্তভোগী আল আমীন খন্দকার বলেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন হিজলা এলাকার বলসতা মৌজায় ৫ শতাংশের একখণ্ড জমি বিক্রির খবর শুনে আমার ছোটভাই সুমনকে যোগযোগ করতে বলি। সুমন জমির মালিক শাহনাজ পারভীনের নাতিন জামাই আহমেদ জিতুর সাথে কথা বলে জমির দাম ঠিক করে। পরে একই এলাকায় আমাদের বাড়িতে এসে জিতু ও জমির মালিক শাহনাজ পারভীন জমির বায়না করে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে যান। বায়না হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রির জন্য তাদের ফোন দিলে জমির মালিক শাহনাজ পারভীন বায়নার কথা অস্বীকার করেন। এমনকি আমাদের তিনি মামলা ও মানহানির হুমকি দেন। পরে আমরা বাধ্য হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয় একাধিকবার অভিযুক্ত আহমেদ জিতুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জমির মালিক শাহনাজ পারভীন বলেন, জিতু তার নাতিন জামাই নন, তাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। জমিটি বিক্রি করে দেয়ার জন্য তার কাছে কাগজের ফটোকপি দিয়েছিলেন তিনি।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আটি পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক হামিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আমরা উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু বিষয়টি জমিজমাসংক্রান্ত। তাই তাদেরকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।