Naya Diganta

আমনের বাম্পার ফলন দশমিনায় দাম নিয়ে শঙ্কা

আমনের বাম্পার ফলন দশমিনায় দাম নিয়ে শঙ্কা

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় চলতি বছর রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন উপজেলার কৃষকরা।

কৃষি অধিদফতর বলছে, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া, দক্ষিণ দাসপাড়া, গছানী ও বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া ঘুরে দেখা গেছে, মাঠভরা হেমন্তের হাওয়ার সাথে দুলছে সোনালী ধান।

চাষিরা বলছেন, আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে তবে ন্যায্যমূল্য নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা। বাম্পার ফলনে হাসি ফুটলেও গত বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতার কারণে এ বছরও ধানের মূল্য নিয়ে শঙ্কিত তারা। তাদের দাবি, ধানের সঠিক দাম পেতে এখন থেকেই সরকারি তৎপরতা প্রয়োজন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৪২৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও অর্জন হয়েছে ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। মাঠ ঘুরেও এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। তবে অসময়ের বন্যা সিত্রাংয়ে বেশ কিছু জমির ফসল ডুবে গেলেও সেগুলো নিয়ে চিন্তিত নয় কৃষি বিভাগ। তাদের দাবি, বন্যায় নিম্নাঞ্চলের জমির ধান ডুবে গেলেও বন্যার স্থায়িত্ব কম থাকায় তেমন একটা ক্ষতি হয়নি আমনের।

উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের কৃষক মো: ইউনুছ তালুকদার (৪৫), নশা মিয়া (৫৫), আলতাব হোসেন (৫৩) ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাস পাড়া গ্রামের সংকর চন্দ্র(৩৯), মজিদ হাওলাদার(৬৫) ও জামাল হোমেন(৫০) জানান, তারা সবাই বর্গাচাষী। প্রতি বছর চার-পাঁচ একর জমি চাষ করেন। কীটনাশক, সার, সেচের পানি, শ্রমিকের মজুরি, মজুদ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতের ক্রমবর্ধমান খরচের পর ধানের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা চলতি বাজার তাদের মনে মঙ্কা জাগাচ্ছে। গত কয়েক দিন যাবৎ শুরু হয়েছে কিছু কিছু জমির ধান কাটা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ জাফর আহম্মেদ বলেন, এ বছর আমন ধানের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা ছাড়িয়ে গেছে। ধানের দাম প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, কৃষকরা যদি ধানের ন্যায্যমূল্য পায় তবে ধানের উৎপাদন প্রতি বছর এভাবেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।