Naya Diganta

জাতিসঙ্ঘ শান্তিপদক পেলেন বাংলাদেশের ১৪০ শান্তিরক্ষী

জাতিসঙ্ঘ শান্তিপদক পেলেন বাংলাদেশের ১৪০ শান্তিরক্ষী

মালিতে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট-২ (রোটেশন-৪)-এর ১৪০ জন সদস্য জাতিসঙ্ঘ শান্তিপদক পেয়েছেন।

সোমবার এক অনুষ্ঠানে মালির জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পুলিশ প্রধান পুলিশ কমিশনার জেনারেল বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি তাদের পদক পরিয়ে দেন বলে বাংলাদেশ পুলিশের অনলাইন মুখপত্রে জানানো হয়েছে।

মালিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিনুসমা ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পদক দেয়া হয়।

এ উপলক্ষে ব্যানএফপিইউ-২ আয়োজিত মেডেল প্যারেড ও শান্তিপদক প্রদান অনুষ্ঠানে বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগিনা প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মিনুসমা হেডকোয়ার্টার্সের এফপিইউ কো-অর্ডিনেটর হাম্মানজাবু স্যামুয়েল, তিন্বুক্তো রিজিয়নের রিজিওনাল কমান্ডার সানাও দিওফ, রিজিওনাল আ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, ডেপুটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জাবেদ আসলাম ও মিলিটারি কন্টিনজেন্টের কমান্ডাররা। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন, মেয়র ও জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রধান অতিথি রাজধানী বামাকো থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে মিনুসমা গুন্দাম ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। ব্যানএফপিইউ-২-এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান প্রধান অতিথিকে হেলিপ্যাডে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে আসেন। সেখানে প্যারেড কমান্ডার ব্যানএফপিইউ-২-এর অপারেশনস্ অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম ও বর্ণিল প্যারেড প্রদর্শন করেন।

মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শনী শেষে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের ১৪০ জন পুলিশ সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথি বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগিনা প্রতিকূল পরিবেশেও অত্যন্ত সুনামের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ পরিচালনা করে স্থানীয় জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে ব্যানএফপিইউ-২-এর অপারেশনাল কর্মকান্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম- যেমন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন, বিনা মূল্যে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণ, স্কুলে শিক্ষাসামগ্রী ও মসজিদে উপহারসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণের প্রশংসা করেন। তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ এবং তাদের দক্ষতা ও পেশাদারত্বেরও প্রশংসা করেন।

ব্যানএফপিইউ-২ (রোটেশন-৪)-এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অত্যন্ত পেশাদারত্ব ও সাহসিকতার সাথে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। তিনি মিনুসমা কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক ডিসপ্লের পর বৃক্ষরোপণ করা হয় এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। ব্যানএফপিইউ-২-এর কমান্ডার প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক ও উপহার তুলে দেন।