Naya Diganta
কাজী ও তালাক উভয়ই ভুয়া

মামলা দিতে গিয়ে জানতে পারলেন আগেই তিনি তালাকপ্রাপ্ত

কাজী ও তালাক উভয়ই ভুয়া
মামলা দিতে গিয়ে জানতে পারলেন আগেই তিনি তালাকপ্রাপ্ত।

স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা দেয়ার পর স্ত্রী জানতে পারলেন তিনি আগেই আসামিকে (স্বামীকে) তালাক দিয়েছেন। অথচ তিনি কখনই তালাক দেননি বলে দাবি করেন। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তালাকনামাটি ভুয়া। এমনকি কথিত তালাকনামা যিনি রেজিস্ট্রি করেছেন তিনিও ভুয়া কাজী।

বাদি ফাতেমা খাতুন জানান, কথিত কাজী অফিসে স্বামী-স্ত্রীর উপস্থিতিতে গত ১৬ আগস্ট খোলা তালাক নিবন্ধন দেখানো হয়েছে। তালাকনামার নির্ধারিত কলামে লিখা রয়েছে কনের উক্তি‘আমি আমার দেনমোহর ও যাবতীয় সকল পাওনাদী বুঝিয়া পাইয়া খোলা তালাক কবুল করিলাম।‘ অথচ তিনি কথিত ওই কাজী অফিসে কখনই যাননি এবং দেনমোহর বা কোনো ধরনের পাওনাদী বুঝে পাননি বলে দাবি করেন। আলোচিত তালাকনামার সিল মোহরে লেখা রয়েছে‘নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার দাউদ আহাম্মদ, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড, টঙ্গী, গাজীপুর।

অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র বৈধ নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার মো: মোজাহিদুল ইসলাম। এ ব্যাপারে মোজাহিদ বলেন, দাউদ আহমেদের লাইসেন্স বহু আগেই বাতিল হয়। এরপরও তিনি অবৈধভাবে নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রি করে যাচ্ছেন।

তবে যোগাযোগ করা হলে দাউদ আহমেদ বলেন, ফাতেমা আক্তার উপস্থিত হয়ে খোলা তালাক নিয়েছেন, তিনি এখন অস্বীকার করছেন। নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার লাইসেন্স বাতিলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি উচ্চ আদালতে আপিল করেছি।