Naya Diganta

পাস কমলেও জিপিএ ৫ বেড়েছে ৮৬ হাজার

রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের উল্লাস

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে। তবে বেড়েছে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এ বছর সব শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪। গত বছর এই পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮। এবার সর্বমোট জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী; অর্থাৎ এ বছর পাসের হার ৫ শতাংশের বেশি কমলেও জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৬ হাজার ২৬২ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছরের মতো এবারো ছেলেদের থেকে ভালো ফল করেছে মেয়েরা। আর শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে পাসের হার বেশি যশোর বোর্ডে ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। অন্য বোর্ডের থেকে খারাপ করেছে সিলেট বোর্ড। এখানে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। সামগ্রিক ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জিপিএ ৫ ছেলেরা পেয়েছেন এক লাখ ২১ হাজার ১৫৬ জন। মেয়েরা পেয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৬ জন।


গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। এ সময় তিনি জানান, এবারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৫৮তম দিনে ফল প্রকাশ করা হলো। তিনি বলেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। এর মধ্যে সাধারণ বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩। মাদরাসা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৭ জন। কারিগরিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৫৫ জন।
শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে ফল প্রকাশের আগেই দুপুর ১২টার পর থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়। অবশ্য এরও আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করা হয়। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি। তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৬ লাখ।


মেয়েরা এবারো এগিয়ে : এসএসসি ও সমমানের ফলাফলে দেখা গেছে গত বছরের মতো এবারো ভালো ফল করেছে মেয়েরা। ছেলেদের থেকে এগিয়ে মেয়েরা। এবার সারা দেশে জিপিএ ৫ পেয়েছেন দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র এক লাখ ২১ হাজার ১৫৬ জন ও ছাত্রী এক লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৬ জন। এবার এসএসসি ও সমমানে গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ আর ছাত্রীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।


৫০ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি : এ বছর জিপিএ’র রেকর্ড গড়লেও ৫০টি প্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করেনি। কেউ পাস করতে না পারা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় ৯টি সাধারণ স্কুল ও ৪১টি মাদরাসা রয়েছে। তবে শূন্য পাসের তালিকায় কোনো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। আর দুই হাজার ৯৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। সূত্র আরো জানায়, শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এক হাজার ৪৯৪টি স্কুল, এক হাজার ৩০৫টি মাদরাসা ও ১৭৬টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।


এগিয়ে যশোর বোর্ড, পিছিয়ে সিলেট : চলতি বছরের ফলাফলে দেখা গেছে এসএসসিতে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এবার পাসের হারে এগিয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ড। আর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার সবচেয়ে কম। যশোর বোর্ডে ৯৫ দশমিক ১৭, আর সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।

জিপিএ বেশি ঢাকায়, কম সিলেটে : এসএসসিতে এবার জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে ঢাকা বোর্ডে। আর কম জিপিএ পেয়েছে সিলেট বোর্ডে। ঢাকা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৯৮৪ জন। আর সাত হাজার ৫৬৫ জন জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী নিয়ে সবার শেষে রয়েছে সিলেট বোর্ড। এ ছাড়া কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন, ১৯ হাজার ৯৯৮ জন, বরিশাল বোর্ড ১০ হাজার ৬৮ জন, চট্টগ্রাম বোর্ড ১৮ হাজার ৬৬৮ জন, দিনাজপুর বোর্ড ২৫ হাজার ৫৮৬ জন, যশোর বোর্ড ৩০ হাজার ৮৯২ জন, রাজশাহী বোর্ড ৪২ হাজার ৫১৭ জন, ময়মনসিংহ বোর্ড ১৫ হাজার ২১৬ জন, মাদরাসা বোর্ড ১৫ হাজার ৪৫৭ জন, কারিগরি বোর্ড ১৯ হাজার ১৩৯ জন।


রাজশাহীতে ৭ বছরের মধ্যে খারাপ ফল
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, এবার রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮৫.৮৮ শতাংশ। গত বছর ছিল ৯৪.৭১ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে পাসের হার কমেছে ৮.৮৩ শতাংশ; যা এই শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের ইতিহাসে সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া এবার রাজশাহী থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৫১৭ জন। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৪২ জন ছাত্র এবং ২৩ হাজার ৩৭৫ জন ছাত্রী। আর ছাত্র পাসের হার ৮৫ দশমিক ৬২ এবং ছাত্রী ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। তবে পাসের হার ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এই বছর ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফল করেছে। গতকাল শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো: হুমায়ূন কবীর এসব তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ এক হাজার ৫৩৫ এবং ছাত্রী ৯৫ হাজার ৬৫ জন। বিজ্ঞান শাখায় ৮২ হাজার ৫৪৯ জন, মানবিকে ৯৬ হাজার ৬২৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় আট হাজার ৪৩৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। রাজশাহী বোর্ডের অধীনে মোট ২৭০টি কেন্দ্রে দুই হাজার ৬৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়।


চট্টগ্রামে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮,৬৬৪ জন
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৫৩ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন। সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, এবার পাসের হার কিছুটা কম হলেও জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১২ হাজার ৭৯১ জন। সেখানে এবার পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন। চলতি বছর ২১৩টি কেন্দ্রে এক হাজার ৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৫০ হাজার ১১২ জন। তন্মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় এক লাখ ৪৮ হাজার ৫৪০। পাস করেছে এক লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন।


ময়মনসিংহে এগিয়ে মেয়েরা
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯.০২ শতাংশ। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এক লাখ ৯ হাজার ৯৫২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯৭ হাজার ৮৮২ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, মানবিক বিভাগে ৮৩ দশমিক ৩৫ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৯০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় ময়মনসিংহ বোর্ডে এবার পাসের হার কমেছে। তবে বেড়েছে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৯ হাজার ৩৪২ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে এ বছর পাসের হার ছেলেদের বেশি হলেও জিপিএ ৫ ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশি। জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ৭৬৮ জন এবং ছাত্রী আট হাজার ৪৪৮ জন। এ দিকে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার জেলার মধ্যে পাসের হার জামালপুর জেলায় বেশি শতকরা ৮৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। শতভাগ কৃতকার্য প্রতিষ্ঠান ৬৪টি। শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে একটি।


সিলেটে জিপিএ ৫ বেড়েছে
বাসস জানায়, এ বছর সিলেট বোর্ডের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এবারে সিলেট বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে সাত হাজার ৫৬৫ জন। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল চার হাজার ৮৩৪ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে তিন হাজার ২৫৪ জন ছেলে ও চার হাজার ৩১১ জন মেয়ে। আগের বছরের চেয়ে এবারে জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা দুই হাজার ৭৩১ জন বেড়েছে। এবারে সিলেট বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে ছয় হাজার ৮৯৪ জন, মানবিক বিভাগে ৩৮৯ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২৮২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
চলতি বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এক লাখ ১৬ হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে এক লাখ ১৫ হাজার ৩৯১ জন পাস করেছে। মোট ৯৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫০টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা শূন্য।


যশোর বোর্ডে এবারো এগিয়ে মেয়েরা
যশোর অফিস জানায়, এবার যশোর শিক্ষা বোর্ডে মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩০ হাজার ৮৯২ জন পরীক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ জিপিএ ৫ পেয়েছে। ২০২১ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১৬ হাজার ৪৬১ জন। গত বছরের তুলনায় বেড়েছে পাসের হারও। এবার পাসের হার ৯৫.১৭ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩.০৯ শতাংশ।
এ দিকে যশোর বোর্ডে মেয়েদের টপকাতে পারছে না ছেলেরা। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তাই বলছে। এবারো মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ২৭৫ জন মেয়ে। আর ১৩ হাজার ৬১৭ জন ছেলে পেয়েছে জিপিএ ৫। পাসের হারেও এগিয়ে মেয়েরা। এবার ৫১৩টি স্কুল থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। অকৃতকার্য হয়েছে একটি স্কুল থেকে। সেটি হলো মণিরামপুরের গালদা খরিঞ্চি গার্লস হাইস্কুল। এই স্কুল থেকে একজন পরীক্ষা দিলেও সে পাস করতে পারেনি।
প্রেস ক্লাব যশোরে ফলাফল নিয়ে ব্রিফিং করেন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধবচন্দ্র রুদ্র। এ দিকে সকাল থেকে ফলপ্রত্যাশীরা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিড় করতে থাকে। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকেই অনলাইন এবং মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জেনে আনন্দে মেতে ওঠে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা। কাক্সিক্ষত ফলাফলে খুশি শিক্ষার্থীরা। এর উল্টো চিত্রও দেখা যায় কোথাও কোথাও।


কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯১.২৮
কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে তিনটি বিভাগে গড় পাসের হার ৯১.২৮ শতাংশ। এ বছর এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৭০ হাজার ৪৮৪ জন। গত বছরের তুলনায় কমেছে পাসের হার, কিন্তু জিপিএ ৫ এর সংখ্যা বেড়েছে। তিনটি বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৯ হাজার ৯৯৮ জন। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৮৪.২৪ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ বোর্ডে এবার ফলাফলে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের পাসের হার ৯১.৫৬ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৯১ দশমিক ০৬ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৬.২৭ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১৪ হাজার ৬২৬ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ৪.৯৯ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ বেড়েছে পাঁচ হাজার ৩৭২ জন। এ বছর এক হাজার ৭৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১১টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শূন্য নেই।


দিনাজপুর বোর্ডে পাস ৮১.১৬ শতাংশ
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুর বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৮১.১৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৫ হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থী, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এবার বোর্ডের অধীনে আটটি জেলার দুই হাজার ৬৯০টি প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৭৬ হাজার ৮৪৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে এক লাখ ৪১ হাজার ৬৮২ জন পাস করে। শতভাগ পাস করেছে ৮৭টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা এবং পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি।
শিক্ষা বোর্ডের হিসাবে গত চার বছরের মধ্যে এবারের ফলাফল খারাপ। ২০২১ সালে এই বোর্ডের অধীনে ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, ২০২০ সালে ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। এবার বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৯৬ দশমিক ০৩ শতাংশ, মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।


এসএসসি ও সমমানের ফল
বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ ৫ ও পাসের হারের চিত্র

শিক্ষা বোর্ড -মোট জিপিএ ৫ - পাসের হার

ঢাকা -৬৪,৯৮৪ -৯০.০৩%
রাজশাহী- ৪২,৫১৭ -৮৫.৮৮%
কুমিল্লা -১৯,৯৯৮ -৯১.২৮%
যশোর -৩০,৮৯২ - ৯৫.১৭%
চট্টগ্রাম - ১৮,৬৬৪ -৮৭.৫৩%
বরিশাল - ১০,০৬৮- ৮৯.৬১%
সিলেট -৭,৫৬৫ -৭৮.৮২%
দিনাজপুর-২৫,৫৮৬-৮১.১৬%
ময়মনসিংহ -১৫,২১৬ -৮৯.০২%
মাদরাসা বোর্ড -১৫,৪৫৭ -৮২.২২%
কারিগরি বোর্ড -১৮,৬৫৫ -৮৯.৫৫%
মোট জিপিএ/ গড় পাসের হার -২,৬৯,৬০২ -৮৭.৪৪%