Naya Diganta

বিসিএলে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহর নর্থ জোন

বিসিএলে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহর নর্থ জোন

বিসিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নর্থ জোন। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের দশম আসরের শিরোপা জিতেছে তারা।

রোববার সাউথ জোনকে নাটকীয়ভাবে ৩ রানে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতেছে নর্থ জোন। অবিশ্বাস্যভাবে চার বারের চ্যাম্পিয়ন সাউথ জোনকে হারিয়েছে রিয়াদবাহিনী। বৃথা গেল নাসির-নাসুমের ৮৫ রানের জুটি। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন রাকিবুল হাসান।

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে আজ মুখোমুখি হয় বিসিবি নর্থ জোন ও বিসিবি সাউথ জোন। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে বিসিবি নর্থ জোন ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানের পুঁজি পায়। সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে ফজলে রাব্বির ব্যাটে।

ব্যাট করতে নেমে নর্থ জোনের শুরুটা ভালো হয়নি। শরিফুল ইসলামের বোলিং তোপে ১৮ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এইদিন আরো একবার ব্যর্থ লিটন কুমার দাস। বিসিএলটা ভুলেই যেতে চাইবেন লিটন। প্রথম দুই ম্যাচে ৪ ও ৯ রানের পর আজ ১১ বলে ১ রান করে শরিফুলের শিকার হয়েছেন লিটন।

লিটনের আগে শরিফুলের শিকার হয়েছেন শাহাদাত হোসেন দিপু। তার ব্যাটে আসে ৪ রান। সৈকত আলিকে নিয়ে জুটি গড়ে দলকে শুরুর ধাক্কা থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেন ফজলে মাহমুদ। তবে ২২ রান করে সৈকত রান আউটের ফাঁদে পড়লে ৪৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে নর্থ জোন। অতঃপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সাথে নিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন ফজলে মাহমুদ।

মাহমুদউল্লাহ ৩৯ রান করে ফিরলে এবার আকবর আলির সাথে ৪৫ রানের জুটি গড়েন মাহমুদ। তবে ৪২তম ওভারে ৬৫ রান করে মাহমুদ ফিরেন সাজঘরে। অতঃপর আকবর আলি ৪৪ ও শামীম পাটোয়ারী ঝড়ো ২০ বলে ৩৭ রান করলে ২৪৪ রানে থামে নর্থ জোনের ইনিংস। সাইফুদ্দীন অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে। শরিফুল ৩ ও মেহেদী মিরাজ শিকার করেন ২ উইকেট।

আগের তিন ম্যাচেই অর্ধশতক ছোঁয়া নাইম শেখ এইদিন ফিরেছেন মাত্র ১১ রানে। তবে সাউথ জোনের দারুণ শুরুতে বাঁধা হতে পারেনি নাইম শেখের উইকেট। শত রানের জুটি গড়ে তুলেন এনামুল হক বিজয় ও জাকির হাসান। তবে এর পরেই বাধে বিপত্তি। ১১৭ থেকে ১২১ রানে যেতেই এই পাঁচ রানের মধ্যে সাউথ জোন হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট!

দলীয় ১১৭ রানে ৩৯ বলে ৪২ রান করে রান আউট হয়ে ফিরেন জাকির হাসান। এক বল পরেই ০ রানে ফিরেন নাইম ইসলাম। ৫ ছক্কায় ৪৮ বলে ৫৯ রান করা বিজয়ও ফিরেন চার রান যোগ হতেই। কোনো রান না করেই একে একে তার পথ ধরেন তৌহিদ হৃদয় ও মেহেদী মিরাজ। অর্থাৎ ৫ রানের ভেতর ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এর ওপর আবার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা, ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে ০ রানেই রিটায়ার্ড হার্ট হন জিয়াউর রহমান।

১২৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও দমে যায়নি সাউথ জোন। নাসুম আহমেদকে সাথে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান নাসির হোসাইন। তাদের ৮৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে সাউথ জোন। ৪৪তম ওভারে নাসুম ৩৮ করে ফিরে গেলেও দলকে টেনে নিতে থাকেন নাসির। সঙ্গী ইনজুরি আক্রান্ত জিয়াউর রহমান।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য সাউথ জোনের প্রয়োজন হয় ১০ রান। হাতেছিল ৩ উইকেট। জাতীয় দলের দ্য ফিনিশার তকমা পাওয়া নাসির মাঠে থাকায় ভয়ের কিছু ছিল না সাউথ জোনের সামনে। তবে নাসির প্রথম বলে ৬১ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়লে ৫ বলে প্রয়োজন হয় ৯ রান।

সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি সাউথ জোন। পাঁচ বলের চারটিই ব্যাটেই লাগাতে পারেননি কামরুল ইসলাম রাব্বি ও শরিফুল ইসলাম। শেষ বলে বাউন্ডারি হাকালেও তা আর জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। মাঝে এক রান আসে বাই থেকে। ১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন রাকিবুল হাসান। রিপন মন্ডল ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।