Naya Diganta

বাংলাদেশের কর সংস্কৃতি

বাংলাদেশের কর সংস্কৃতি

এটি জানা বেশ স্বস্তির বিষয় যে, বাংলাদেশের অন্যান্য খাতের বা ক্ষেত্রের চেয়ে নানান সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও রাজস্ব, বিশেষ করে, আয়কর আহরণে অগ্রগতি অব্যাহত আছে, উৎসাহব্যঞ্জকভাবে। আনন্দদায়ক যে আয়কর প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি তথা করদাতাবান্ধব পরিবেশ সৃজনে পদ্ধতি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার প্রয়াসের ফসল থেকে এ সাফল্য আসছে। এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে অর্থনীতিতে কর জিডিপির অনুপাত ন্যায্য পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত। বাঞ্ছিত পরিমাণ আয়কর আহরণ সরকারের রাজস্ব তহবিলের স্ফীতির জন্য নয় শুধু, সম্পদ বণ্টন ব্যবস্থা সুষমকরণের দ্বারা সামাজিক সুবিচার সুনিশ্চিতকরণে, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও অঞ্চল গত উন্নয়ন বৈষম্য দূরীকরণের জন্যও জরুরি। দেশকে স্বয়ম্ভরের গৌরবে গড়তে ও পরনির্ভরতার নিগড় থেকে বের করে আনতে আয়কর অন্যতম প্রভাবক ভ‚মিকা পালন করবে। আয়কর বিভাগের প্রতিটি প্রয়াসে তাই থাকা চাই বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার সম্মিলনে উন্মোচিত আত্মবিশ্বাসের, সহযোগিতা সজ্ঞাত মনোভঙ্গি ভজনের, পদ্ধতি সহজীকরণের, করদাতা ও কর আহরণকারী উভয়পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা অর্জনের অয়োময় প্রত্যয়।

২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো বৃত্তাবদ্ধ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কর রাজস্ব আহরণের সাফল্য লাভের পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি এনবিআরকে। গত পনেরো অর্থবছরে সার্বিক রাজস্ব আয় শতভাগের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আয়কর রাজস্ব বৃদ্ধির পেছনে অন্যান্য কারণের সাথে এডিপির আকার বৃদ্ধিজনিত প্রবৃদ্ধিও সহায়ক ভূমিকায় এসেছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে বাস্তবায়িত এডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ১৮ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা আর ২০২২-২৩ এ, যা ২০১৪-১৫ তে ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়, ২০২২-২৩ এ তা দাঁড়ায় দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এডিপির বাস্তবায়ন পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সমানুপাতিক হারে অধিক পরিমাণে শুল্ক ও কর রাজস্ব আহরণের একটা অবারিত সুযোগ ও সম্পর্ক আছে। দেখা যাচ্ছে, এ পনেরো অর্থবছরে কোম্পানি ও কোম্পানি ব্যতীত করের অনুপাত ৫৯:৪১ থেকে ৫৪:৪৫ এর মধ্যে ওঠানামা করেছে এবং সার্বিক কর রাজস্বে আয়করের হিস্যা ২৫ থেকে ৩৫ এর মধ্যে রয়েছে। তবে বলে রাখা ভালো আয়কর কর রাজস্বপ্রাপ্তির পরিবারে প্রথম হতে পারেনি এখনো। অর্থনীতির আকার অবয়ব চেহারা ও চরিত্র অনুযায়ী আমদানি শুল্ক (আশু) ও মূল্য সংযোজন করকে (মুসক) টপকিয়ে আয়করের অবস্থান এক নম্বর হওয়া বাঞ্ছনীয়। সামষ্টিক অর্থনীতিতে আয়কর এর অবদানকে অগ্রগামী গণ্য হতে হলে আরো জোরে চালাতে হবে পা, হতে হবে আরো গতিশীল, চাই অধিকতর সমন্বিত উদ্যোগ।

আয়কর আহরণের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিগত কয়েকটি বছরের আগপর্যন্ত আয়কর আয়ের প্রবৃদ্ধির মাত্রা ছিল অত্যন্ত ধীর, মিশ্র ও নৈরাশ্যজনক, অথচ অর্থনীতির সার্বিক প্রবৃদ্ধির মাত্রা অনুযায়ী ইতোমধ্যে প্রত্যক্ষ করের মুখ্য ভ‚মিকা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা। পর্যালোচনায় দেখা যায়, ক্রমে কোম্পানি ও কোম্পানি ব্যতীত কর আয়ের অনুপাত ৭০:৩০ থেকে ৫৫:৪৫ এ পৌঁছিয়েছে। দেশে করপোরেট ব্যবসায়-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলেও কোম্পানি প্রদত্ত আয়করের প্রবৃদ্ধি সেভাবে বা সে হারে বাড়েনি বলে প্রতীয়মান হয়। অন্য দিকে, কোম্পানি ব্যতীত করদাতার মধ্যে ব্যক্তি করদাতা, পার্টনারশিপ ফার্ম, অ্যাসোসিয়েশন অব পার্সন, আর্টিফিশিয়াল জুরিডিক্যাল পার্সনস রয়েছেন- তাদের করনেটের আওতায় আনার উদ্যোগ আরো জোরদারকরণের অবকাশ রয়েছে। ব্যক্তি করদাতার সংখ্যা (ই-টিআইএন ধারীর হিসাব অনুযায়ী) নিকট অতীতেও যথাযথভাবে শুমার ও সংরক্ষণ করা না হলেও যখন থেকে এসবের অগ্রগতির পরিসংখ্যান পর্যালোচিত হচ্ছে; তখন থেকে অগ্রগতির ধারা বেগবান করার প্রয়াস চলছে। যারা আয়কর নথি খুলেছেন তাদের ২৫-৩০ শতাংশ করদাতা নিয়মিত কর দিচ্ছেন, বাকিদের উপযুক্ত অনুসরণের উদ্যোগ জোরদার করার আবশ্যকতা রয়েছে। আয়কর বিভাগের লোকবল বাড়ানো ও সম্প্রসারণের পাশাপশি বিদ্যমান লোকবল ও কাঠামোকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো এবং দেশিক দায়িত্ব শীলতার সাথে প্রত্যক্ষ কর প্রশাসন-ব্যবস্থাপনা- প্রয়োগ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। ধার্য ও আদায়কৃত আয়কর যথাসময়ে ও প্রকৃত পরিমাণে কোষাগারে আসার ব্যাপারে নজরদারি ও পরিবীক্ষণ যেমন জরুরি তেমনি করারোপ, হিসাবায়ন ও জমা দান পদ্ধতি প্রক্রিয়াকে যতটা সম্ভব করদাতা বান্ধব বা সহজীকরণ করা যাবে তত দূরত্ব কমবে করদাতা ও আহরণকারীর মধ্যে। আর এভাবে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হলে করনেটের সম্প্রসারণ ঘটতে থাকবে। দেশের কর জিডিপি রেশিও উপযুক্ত পর্যায়ে উন্নীতকরণের ক্ষেত্রে এ কথা অনস্বীকার্য যে সার্বিক রাজস্ব আয়ের পরিবারে প্রত্যক্ষ করকেই মোড়লের ভ‚মিকায় আসার যথেষ্ট অবকাশ ও সুযোগ রয়েছে।

ইদানীং স্পষ্ট নয় যে, প্রকৃত করদাতা সত্যি বাড়ছে কি-না। সার্বিকভাবে উৎসে কর ও কোম্পানির করের ওপর আয়কর নির্ভর হয়ে পড়েছে। এটি বাড়ছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। দেখতে হবে করের প্রকৃত পরিধি বাড়ছে কি-না। করদাতার সংখ্যা বাড়ছে কি-না এবং সেই হারে করের পরিমাণ বাড়ছে কি-না। আবার এর সাথে কর ফাঁকিও রোধ করতে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে কপোরেট করও যারা দিচ্ছেন, তারা সবাই সঠিক পরিমাণে দিচ্ছেন কি-না সেটিও দেখার বিষয় রয়েছে। কারণ প্রায়ই দেখা যায়, অমুক প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির এত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি। এটি তো ছেলে খেলার বিষয় নয়। এখানে কর আহরণকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কারণ, সেখানে কর্তৃপক্ষের মনিটরিংয়ের, প্রয়াসের, দক্ষতার, সততার দায়িত্বশীলতার ঘাটতির প্রতিই ইঙ্গিত করে। তবে এনবিআর অব্যাহতভাবে এ দুর্বলতা কাটিয়ে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে।

গত কয়েক বছরে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় এনবিআরের বেশ কিছু সংস্কার ও জনবল ও কাঠামোয় ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে। এটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে ভেবে দেখতে হবে- যে হারে সংস্কার ও সম্প্রসারণ হযেছে, সে হারে কর বা করদাতা বাড়ছে কি-না, কিংবা যারা যুক্ত হচ্ছে তারা পরবর্তীতে থাকতে পারছে কি-না? বিদ্যমান কর ব্যবস্থায় কিছু সীমাবদ্ধতা এবং ক্ষেত্রবিশেষে কর বিভাগের অপারগ পরিস্থিতির কারণে করদাতারা যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। করের বেজ বাড়াতে এটি জরুরি।

কর আদায় না হয়ে কর আহরণ হওয়া উচিত দৃষ্টিভঙ্গি। শব্দের মধ্যে যে উদ্দেশ্য ও বিধেয় লুকিয়ে থাকে সেটিই শব্দের প্রকৃত অর্থ নির্ধারক। শব্দের ভাবগত, ভাষাগত, ব্যুৎপত্তিগত অর্থ স্থান, কাল, পাত্রভেদে ভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করতে পারে কিন্তু মূল বা ধাতুগত স্বকীয়তা ঠিক থাকে সর্বদা, সর্বত্র। ‘আদায়’ শব্দটি আরবি ‘আদা’ ধাতুমূল থেকে উৎপত্তি। মূল অর্থ পালন করা, সম্পাদন করা, সাধন। সংস্কৃতে আ প্রত্যয়ের সাথে দা ধাতু যোগে আদায় শব্দটি গঠিত। দা ধাতুমূল দায়বদ্ধতার প্রতীক। প্রজা মালিক বা রাজা বা রাষ্ট্রের কাছে দেয় পরিশোধে দায়বদ্ধ।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধমে স্বাধীন সার্বভৈৗমত্ব লাভের পূর্ব পর্যন্ত অধিকাংশ সময় বিদেশী শাসনের অধীনে থাকা আমাদের এ দেশ ও সমাজে প্রাচীন কাল থেকে সেস বা খাজনা বা নজরানা সংগ্রহ কার্যক্রমে জোর জবরদস্তি বা বাধ্য করা অর্থে, পাওনা উদ্ধার অর্থে ‘আদায়’ শব্দটি ব্যবহার হয়ে এসেছে। ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিশ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত এদেশীয় ভ‚মির মালিকানা সূত্রে খাজনা সংগ্রহের দায়িত্ব জমিদার শ্রেণীর কাছে অর্পিত হয়। জমিদাররা জমির প্রকৃত মালিক ছিল না, তারা জমির চাষবাসেও ছিল না, তারা কোম্পানির হয়ে খাজনা সংগ্রাহক ছিল মাত্র। এ সংগ্রহ কাজে কোম্পানিকে দেয় পরিশোধের পর উদ্বৃত্ত কমিশন হিসেবে প্রাপ্তির প্রত্যাশী ছিল মধ্যস্বত্বভোগী এই চক্র। ফলে রায়তের সাথে খাজনা সংগ্রহ কর্মে তাদের সম্পর্ক শেষমেশ জুলুম বা জোর জবরদস্তির পর্যায়ে পৌঁছাত। জমিতে ফসল হলো কিনা, রায়ত চাষবাস করে টিকে থাকতে পারবে বা পারছে কিনা এটা জমিদারদের বিবেচনার বিষয় ছিল না। আর কোম্পানি বিষয়টি অবশ্যই দেখে বা জেনেও না জানার ভান করত, কেননা তারা তুষ্ট থাকত রাজস্ব পেয়ে, প্রজার সুযোগ সুবিধা দেখার বিষয়টি আমলে নিতে প্রস্তুত ছিল না। খাজনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে আদায় শব্দটি সেভাবে একটা জোরজুলুম, অত্যাচার, আত্মসাতের প্রতিভ‚ হিসেবে বিদ্যমান হয়ে দাঁড়ায়। একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে ও পরিবেশে রাষ্ট্রকে দেয় ‘আদায়ের’ ঔপনিবেশিক আমলের এসব মানসিকতা অব্যাহত থাকা যুক্তিগ্রাহ্য হতে পারে না।

মোট কর রাজস্বে আমদানি শুল্কের হিস্যা ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ৪২ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে এবং বার্ষিক প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ২৭, ০৫, ০৯, ২২ ও ১১ শতাংশ অর্থাৎ বড় এলোমেলো এবং অপরিকল্পিত প্রয়াস পরিস্থিতি নির্দেশ করে। ডিব্লিউটিওর অনুশাসন মেনে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় যে পরিবর্তন আসছে তাতে ক্রমান্বয়ে আমদানি শুল্ক হ্রাস পেতে থাকবে এমন একটা ধারণা বা যুক্তি বিদ্যমান থাকলেও ক্রমান্বয়ে উচ্চ শুল্কায়নযোগ্য সামগ্রীর আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে শুল্ক আয় সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধির কার্যকরণ সম্পর্কটিও পরীক্ষা পর্যালোচনার অবকাশ থেকে যাচ্ছে। মূল্য ওঠানামার সাথে ট্যারিফ স্ট্র্যাকচারের সমন্বয় সাধন, ভ্যালুয়েশনসহ শুল্কায়নে অধিকতর একাগ্রতা, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও প্রকৃষ্ট প্রয়োগ নিশ্চিত হওয়ার আবশ্যকতা অনস্বীকার্য থেকে যায়। স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর আয়ের হিস্যা বাড়া কমার পরিস্থিতিও অর্থনীতির সার্বিক প্রবৃদ্ধির সাথে আয়কর আয়ের সামঞ্জহীন পরিস্থিতি নির্দেশ করে। মূসক আয়ের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির মিশ্র হারও যথাক্রমে ২৩, ১৩, ২৫, ২৯ ও ২৩ শতাংশ যা মূসক আয়ের টেকসই ও ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা পূরণ করে না। এ সময়ের (২০০৬-২০২২) গড় প্রবৃদ্ধি আমদানি (২২ শতাংশ), জিডিপি (৫-৭ শতাংশ) ও মূল্য স্ফীতির (৭-৯ শতাংশ) হিসাব এবং স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় আনলে স্থানীয় পর্যায়ে পরোক্ষ কর থেকে আয় এর প্রবৃদ্ধি ন্যূনতম ২৫ শতাংশের বেশি হওয়া যুক্তিযুক্ত প্রতীয়মান হয়। মোট কর রাজস্বে আয়করের হিস্যা ২০০৭-০৮ এর ২৫ শতাংশ থেকে ২০২১-২২ এ যা উন্নীত হয়েছে যা পূর্ববর্তী সময়গুলোর তুলনায় সন্তোষজনক অগ্রগতি, এ ধারা আরো বেগবান হওয়ার অবকাশ রয়েছে। তবে আয়করের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ২৭, ১১, ১৮, ২৮ এবং ১৯ শতাংশ অর্থাৎ সুস্থিরভাবে ঊর্ধ্বগামী হতে পারেনি। আয়কর দাতার সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত তা বাড়ানোর উদ্যোগ থাকবে। লোকবলের সমাহার ঘটিয়ে সাংগঠনিক কাঠামোর দুর্বলতা দূর করতে পারলে মোট রাজস্বে আয়কর খাতের হিস্যা বাড়ানো সহজতর হবে। কর জিডিপি রেশিও উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বাগ্রে তাই প্রয়োজন সবার সমন্বিত প্রয়াস।

লেখক : সরকারের সাবেক সচিব এবং এনবিআরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান