Naya Diganta

সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় শতাধিক রোহিঙ্গা

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে একটি অস্থায়ী শেল্টারে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা।

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের সর্ব উত্তরের আচেহ প্রদেশের উপকূলে নারী, শিশুসহ ১১১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে হাজির হয়েছে একটি নৌকা। মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে প্রতিবছর যে বিপুল পরিমাণ মানুষ দেশত্যাগ করে, এটা তার সর্বশেষ নজির।

বছরের পর বছর ধরে নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে, সমুদ্র যখন তুলনামূলক শান্ত থাকে তখন মিয়ানমারের নির্যাতিত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের দলে দলে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার দিকে নৌকা ছোটাতে দেখা যায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েক শ’ রোহিঙ্গা আচেহতে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন, অনেককে মাসের পর মাস সমুদ্রেও কাটাতে হচ্ছে। মিয়ানমারে জন্ম হলেও দেশটি রোহিঙ্গাদেরকে প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ শরণার্থী হিসেবে বিবেচনা করে।

উত্তর আচেহ সরকারের মুখপাত্র হামদানি বলেছেন, ২৭ নারী ও ১৮ শিশুসহ যে ১১১ জন ইন্দোনেশিয়ায় পা রেখেছেন, তারা সবাই সুস্থ আছেন।

তারা ইতোমধ্যে (নৌকা থেকে) নেমেও গেছেন। তাদের সেবা-শুশ্রূষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হামদানি। তিনি জানান, এ রোহিঙ্গারা এখন কাছাকাছি একটি গ্রামে অবস্থান করছে। এদের নিয়ে কী করা হবে, তা ঠিক করতে কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসবে। ২০১৭ সালে সামরিক দমনপীড়ন শুরু হওয়ার পর ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যায়।

ওই দমনপীড়ন চলাকালে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল বলে ভাষ্য প্রত্যক্ষদর্শীদের। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মিয়ানমারে সেনা নিপীড়নে হতাহত বেসামরিক ও জ্বালিয়ে দেয়া ঘরবাড়ির হিসাব রাখছে।

অন্যদিকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা বিদ্রোহ দমন করছে। রোহিঙ্গাদের ওপর পদ্ধতিগত নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তারা।

সূত্র : রয়টার্স