Naya Diganta

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল মঞ্জুর

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল মঞ্জুর

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতির আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একইসাথে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। এখন আমরা আপিল দায়ের করবো। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে।’

গত ২৫ আগস্ট সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বাতিল করেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেন, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১ (১) ধারা বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থি ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।

জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেদিন এ রায় ঘোষণা করেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে গত ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের দেয়া ওই রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়।

সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে যা আজ মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়, ‘কোনও সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হবার আগে, তাকে গ্রেফতার করতে হলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।’

পরে আইনের ওই ধারা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম রিট দায়ের করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৪১ (১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং ধারাটি কেন সংবিধানের ২৬ (১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
সূত্র : ইউএনবি