Naya Diganta

আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, নারীসহ আটক ৭

আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, নারীসহ আটক ৭

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস, ক্যামেরা, পাঁচটি মোবাইল ফোন, চার্জার, দৈনিক প্রথম বেলা, দৈনিক বিজয় বাংলা, দৈনিক নাগরিক ভাবনাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে করা একাধিক পরিচয় পত্র জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন রাকিবুল হায়দার, সোমা পারভিন, জীবনী, রেজাউল করিম খান, আরাফাত হোসেন, শামীম হোসেন, গাড়ির ড্রাইভার আতাউর রহমান। তারা গাজীপুরের বাসন, নোয়াখালী, জামালপুর ও শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

জানা গেছে, বুধবার বিকেলে উপজেলার ইউসুফেরবাগ মাদরাসা ও এতিমখানায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগে মাদরাসার মুহতামিমের কাছে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অডিটর পরিচয়ে যান তারা। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়। অডিট করার বিল বাবদ নগদ তিন হাজার টাকাও নেন তারা। এ সময় আরো ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। যা দু’দিনের মধ্যে বিকাশে পরিশোধ করতে বলা হয়।

একই কায়দায় উপজেলার পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসার মুহতামিমের থেকে উপায়ে টাকা হাতানোর চেষ্টা করেন। এ সময় মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিষয়টি সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকদের জানান। পরে তাদের কাছে থাকা আইডি কার্ড যাচাই করে দেখা যায়, তারা অবৈধ অর্থ লাভের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গায় গিয়ে বিভিন্ন মাদরাসায় প্রতারণা করে টাকা দাবি করেন। স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ রাতে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে ইউসুফেরবাগ গোরস্থান মাদরাসা ও এতিখানার মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ শরফুদ্দিন মোল্যা আটকদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।