Naya Diganta

বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ঢাকা

বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ঢাকা

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর মানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। দেশের সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাসের মান গতদিনের তুলনায় আরো বেশি ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৯টায় অতিরিক্ত জনবহুল এই মহানগরীর বায়ুর গুণমান সূচক (একিউআই) ১৭৮ স্কোর রেকর্ড করা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে ১৮৮ ও ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে এ তালিকায় প্রথম ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

একিউআই স্কোর ১০১-২০০ এর মধ্যে থাকলে ওই বায়ুকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

একইভাবে, ২০১ থেকে তিন শ’র মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে চার শ’র স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। তা হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

ঢাকা দীর্ঘ দিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

জাতিসঙ্ঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।

সূত্র : ইউএনবি