Naya Diganta

রাঙ্গামাটির সাজেকে পাহাড় ধসে পড়ায় ৬ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ

সাজেকে পাহাড় ধসে পড়ায় আটকে পড়া যানবাহন : নয়া দিগন্ত

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে পাহাড় ধসের কারণে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর আবার যান চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে ওই সড়কের নন্দরাম নামক এলাকায় বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের ওপর পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের নন্দরাম নামক এলাকায় সড়কের ওপর পাহাড়ের একটি অংশের মাটি ধসে পড়ে। এতে ওই রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকে মাটি সরানোর কাজ শুরু করে। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা পর মাটির স্তূপ সরানোর পর গাড়ি চলাচল আবার শুরু হয়।
সাজেক থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হক জানান, বুধবার সকালের দিকে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের নন্দরাম এলাকায় সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ে। এর ফলে উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর সহায়তায় দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আকতার জানান, পাহাড় ধসের ঘটনায় রাস্তার দুই পাশে আটকা পড়ে কয়েক হাজার পর্যটক।
মঙ্গলবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। মাটি সরাতে সকাল থেকে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে। সাজেকে পাহাড় ধসের কারণে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক দুইপাশে অবস্থান আটকা পড়ে। দুপুর আড়াইটার দিকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয় বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন জানান, সকালে পাহাড় ধসের ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। সাজেক এলাকায় প্রায় ছোট বড় মিলে ২০০ গাড়ি রয়েছে।
যারা গত (মঙ্গলবার) এসেছিল তারা গতকাল বুধবার সকালে অনেকের চলে যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু পাহাড় ধসের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সবাই আটকা পড়ে।
দুপুরের দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হলে গাড়ি ছাড়তে শুরু করে। আমাদের এখানে ১১২টি কটেজ আছে। সব মিলে প্রায় চার হাজার পর্যটক থাকতে পারেন।
উল্লেখ্য টানা ৯ দিনের ছুটির কারণে সাজেকে বাড়তি পর্যটকের চাপ রয়েছে। বর্তমানে সেখানে দুই হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন। আরো তিন হাজার পর্যটক প্রবেশ করছে বলে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান।