Naya Diganta

চোখ ওঠা রোগের ড্রপ ও চিকিৎসক সঙ্কট

চোখ ওঠা রোগের ড্রপ ও চিকিৎসক সঙ্কট

বরগুনার বেতাগী পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এখন চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। চোখ ওঠার কারণে অনেকের চোখ লাল হয়ে পানি পড়তে দেখা গেছে। কারো কারো চোখের পাতা ফুলে চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে। অনেকেই চোখের যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকরা ড্রপ ও কালো চশমা পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

চোখ ওঠার কারণে অনেক নারী-পুরুষকে চোখে কালো চশমা পরিধান করে চলাচল করতে দেখা গেছে। বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসিতে গিয়ে রোগীরা চোখ ওঠার ওষুধ ও অয়েনমেন্ট খোঁজে পাচ্ছেন না।

পৌরসভার বাজারে ফার্মেসিগুলোতে চোখ ওঠা রোগের ওষুধ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

ফার্মেসিগুলোতে চোখ ওঠা রোগের ওষুধ সঙ্কটের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পৌর শহরের বন্ধু ফার্মেসির স্বত্ত্বাধিকারী আলী আহমেদ বলেন, গত ১৫ দিন যাবৎ চোখের রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম করছে।

দয়া ফার্মেসির প্রোপাইটর রনজিৎ বিশ্বাস বলেন, শুধু বেতাগী নয়, সারা বাংলাদেশেই এখন চোখের রোগ প্রকোপ বিস্তার করছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো সাধারণত চোখ ওঠা রোগের ওষুধ কম সরবরাহ করে থাকে।

চিকিৎসক তিথি মহালদার বলেন, এই জাতীয় ওষুধ কম চলে। অনেক সময় দেখা যায় ফার্মেসিতেই ওষুধ পড়ে থাকার কারণে মেয়াদ চলে যায়। এছাড়া সারা বাংলাদেশে একযোগে রোগটি দেখা দেয়ার কারণে সব ফার্মেসির মালিকরা একসাথে অর্ডার করতে শুরু করায় সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে।

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ফরহাদ ইসলাম বলেন, চোখ ওঠা একটি কনজাংকটিভাইরাভাইটিস ভাইরাস জনিত রোগ।