Naya Diganta

বিভিন্ন সঙ্কটের মধ্যে আবারো ফিরে এলো নোবেল পুরস্কারের মৌসুম

বিভিন্ন সঙ্কটের মধ্যে আবারো ফিরে এলো নোবেল পুরস্কারের মৌসুম

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ইউরোপে কয়েক দশকের প্রায় নিরবচ্ছিন্ন শান্তি বিনষ্ট করে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই বছরের নোবেল পুরস্কারের মৌসুম এগিয়ে আসছে।

অত্যন্ত গোপনীয় নোবেল কমিটিগুলো কখনই ইঙ্গিত দেয় না যে কে চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য, অর্থনীতি বা শান্তিতে পুরস্কার জিতবে। সোমবার থেকে ঘোষণা করা পুরষ্কার কে কে জিততে পারে, তা অনুমান করাও বেশ মুশকিল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের জনগণকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য, নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।

তবে, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড্যান স্মিথ বলেন, যদিও সেই ইচ্ছাটি বোধগম্য, তারপরও সেই পছন্দটি অসম্ভাব্য, কারণ নোবেল কমিটির এমন ব্যক্তিদের সম্মান করার ইতিহাস রয়েছে, যারা দ্বন্দ্বের অবসান ঘটান, যুদ্ধকালীন নেতাদের নয়।

স্মিথ বিশ্বাস করেন, সম্ভবত শান্তি পুরস্কারের প্রার্থীরা হতে পারে কোনো গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তি। যারা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। অথবা হতে পারে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা, অতীতে যেমনটা দেখা গেছে।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইতিহাসে এটি সত্যিই কঠিন একটা সময় এবং এখানে খুব বেশি শান্তি স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না।’

তবে, শান্তির প্রচার সবসময় নোবেল দিয়ে পুরস্কৃত হয় না। যেমন ২০ শতকের অহিংসার একটি বিশিষ্ট প্রতীক, ভারতের মোহনদাস গান্ধী নোবেল পুরষ্কার পাননি।

এই বছরের নোবেল পুরস্কারের ঘোষণাগুলো শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। এ দিন ঘোষণা হবে শারীরবিদ্যা বা মেডিসিনে পুরস্কার, এরপর মঙ্গলবার পদার্থবিদ্যা, বুধবার রসায়ন এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্য। ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে ৭ অক্টোবর এবং অর্থনীতি পুরস্কার ১০ অক্টোবর।

পুরষ্কারগুলোর মধ্যে এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার (আটাশি হাজার ডলার) নগদ পুরস্কার রয়েছে এবং সেগুলো আগামী ১০ ডিসেম্বর হস্তান্তর করা হবে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা