Naya Diganta

নারায়ণগঞ্জে মদ পান করিয়ে গলা কেটে হত্যা : গ্রেফতার ৩

নারায়ণগঞ্জে মদ পান করিয়ে গলা কেটে হত্যা : গ্রেফতার ৩

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় মিশুকচালক কায়েসকে (১৬) হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, মিশুক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই কায়েসকে মদপান করিয়ে
হত্যা করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।

গ্রেফতাররা হলেন বন্দর পদুঘর এলাকার মুক্তার হোসেনের ছেলে কাউছার (২০), একই এলাকার মো. সেলিমের ছেলে কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল (২৫) এবং দক্ষিণ কুলচরিত্র এলাকার রাজা গাজীর ছেলে ফাহিম ওরফে জিকো (২০)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরো দুজন পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন তিনগাঁও ভদ্রভাসন এলাকার বাসিন্দা নাছির উদ্দিন বিটলের ছেলে লিমন ওরফে রিমন (২০) ও পদুঘর এলাকার মো. মনিরের ছেলে হানিফ (১৯)।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে এবং মিশুক বিক্রির কাজে মোট পাঁচজন জড়িত ছিল। পদুঘর এলাকা থেকে কায়েসের মিশুকটি ভাড়া করেন লিমন ওরফে রিমন, কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল, ফাহিম ওরফে জিকো ও হানিফ। সাবদী
ব্রিজের কাছে গিয়ে তারা মদপান করেন। কায়েসকেও মদপান করানো হয়। পরে তাকে মিশুক নিয়ে কলাগাছিয়া কান্দিপাড়া নরপদি এলাকায় যেতে বলে। সেখানে গেলে কায়েসকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে মিশুকটি নিয়ে চলে যায় তারা। মিশুক বিক্রিতে তাদের সহযোগিতা করেন কাউছার।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর ভোরে কায়েস গ্যারেজ থেকে মিশুক নিয়ে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ২৯ সেপ্টেম্বর তার মা শারমিন বেগম বন্দর থানায় একটি জিডি করেন। শনিবার সকালে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া নরপদি এলাকায় একটি ঝোপ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কায়েসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। অভিযান
চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনসহ ছিনতাইকৃত মিশুক গাড়ি উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়।