Naya Diganta

দীপ্তির পাশে দাঁড়ালেন জ্যোতি

দীপ্তির পাশে দাঁড়ালেন জ্যোতি

মানকাডিং আউট নিয়ে তর্ক-বিতর্কটা সেই আদিকাল থেকে চলে আসছে। তবে দীপ্তি শর্মা কাণ্ড যেন সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছে। মাঠ ছাপিয়ে মাঠের বাইরে, ক্রিকেটার থেকে ক্রিকেটবোদ্ধা; সবাই যেন এই আগুনে পুড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি আর তর্কে-বিতর্কে পুরো ক্রিকেটাঙ্গন যেন ফুঁসে উঠেছে।

তবে দীপ্তি শর্মার দাবি, শার্লট ডিনকে ওইভাবে রান আউট করাটা দলের পরিকল্পনা ছিল। বলা হচ্ছে তাকে শুরুতে সতর্ক করেছিলো ভারতীয় বোলাররা। আম্পায়ারকেও জানিয়েছিল তারা। তবুও বারবার একই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হওয়ায় তাকে আউট করেন দীপ্তি শর্মা। দীপ্তি বলেন, ‘আমরা যা করেছি ক্রিকেটের নিয়ম মেনেই সবকিছু করেছি।’‌

ক্রিকেটের নিয়মে মানকাডিংয়ের বৈধতা থাকায় তর্ক বির্তকের এই সময়ে দীপ্তির পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। একটি বাংলা ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকালে, দ্বীপ্তি শর্মার মানকাডিং কিভাবে দেখছেন, এই প্রশ্নের জবাবে নিগার সুলতানা বলেন, ‘আইসিসি তো এটাকে এপ্রুভাল দিয়েছে, তাই না? তাহলে! ক্রিকেট এক ধরনের যুদ্ধ, প্রতিটা ম্যাচও। যুদ্ধে কিন্তু সবকিছুই ফেয়ার। জিততে আপনি যেকোনো অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। দীপ্তি শর্মার মনে হয়েছে, এই অস্ত্র ব্যবহার করবে, করে ম্যাচ জিতেছে। এখানে আবেগের কোনো জায়গা নেই।’

কেউ যদি ভাবে ওই মেয়ে শেষ উইকেট ছিল, ম্যাচটা জিততে পারতো বা ইত্যাদি। এগুলো আমি ওভাবে চিন্তা করি না। আইসিসি এপ্রুভ করা রুলস অনুযায়ীই আউট করেছে, আম্পায়ারও আউট দিয়েছে। আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেটের ভাষায় যা যা করা দরকার ছিল ম্যাচ জিততে, দীপ্তি করেছে।’

নিজে কখনো এমন আউট করবেন কিনা কিংবা নিজে আউট হলে কেমন লাগবে, এমন প্রশ্নের জবাবে জ্যোতি জানান, দলের প্রয়োজন হলে তিনি অবশ্যই করবেন। আবার নিজে আউট হলে কষ্ট পেলেও মেনে নিবেন, বলে জানান তিনি।