Naya Diganta

হালুয়াঘাটে বন্য হাতির তাণ্ডব থামছেই না : এবার বিনষ্ট করলো বসতঘর

হালুয়াঘাটে বন্য হাতির তাণ্ডব থামছেই না : এবার বিনষ্ট করলো বসতঘর

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকার বসতভিটায় তাণ্ডব চালিয়েছে বন্যহাতির দল। এতে আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের কড়ইতলী এলাকায় গৃহবধূ সাহেরা খাতুনের বাড়িতে এ তাণ্ডব চালায় হাতির দল।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ৩৫ থেকে ৪০ টি বন্য হাতির দল গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে উপজেলার কড়ইতলী এলাকার সীমান্তবর্তী পাহাড়ের ঢালে অবস্থান করছে। সন্ধ্যা হলেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে হাতির দলটি। হানা দেয় ফসলি জমি। গত কয়েক দিনে কড়ইতলী, লক্ষীকুড়াসহ কয়েকটি এলাকায় মানুষ রাত জেগে পাহাড়া দিয়েও রক্ষা করতে পারছে না ফসলি জমি। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ একর সবজি ও আমান ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতির পাল। এ নিয়ে বিপাকে আছেন কৃষকরা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাহেরা খাতুনের বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়ে তার থাকার ঘর ও রান্না ঘর ভেঙে তছনস করে দেয়। এ সময় বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা ফলের গাছসহ আরো বিভিন্ন গাছ নষ্ট করে।

সাহেরা বলেন, হাতির চিৎকার শুনেই আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে দৌঁড়ে পালিয়েছি। এ সময় আমার থাকার ঘরটি হাতির দল ভেঙে ফেলেছে। পরিবার নিয়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে রাত কাটিয়েছি।

কৃষক আবু শাহ আলম বলেন, হাতির দল আগুন ও মানুষ দেখেও ভয় পায় না। হইহল্লা করেও কাজ হয় না। আমরা এখন নিরূপায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, গত কয়েক দিনে হাতির আক্রমণে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে হামলায় আরো অনেকে আহত হয়েছে। হাতির তাণ্ডব যেন থামছেই না। স্থানীদের অভিযোগ, বন বিভাগ আর প্রশাসন হাতি তাড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় বারবার একই ঘটনা ঘটছে।

ভুবনকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সুরুজ মিয়া বলেন, এক মাস ধরে এলাকার লোকজনের ঘুম নেই। মানুষ এখন আতঙ্কে দিন পার করছে। ফসল তো সব শেষ, এখন আজ এই বাড়ি তো কাল ওই বাড়িতে হানা দিচ্ছে হাতি। লোকজনের কষ্টের শেষ নেই।

বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মাজাহারুল জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।