Naya Diganta

হজে বেঁচে যাওয়া অর্থ ফেরত পাবেন সরকারি হাজিরা

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়া ব্যক্তিদের বেঁচে যাওয়া অর্থ ফেরত দেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্যাকেজ-১ এর হাজিরা প্রত্যেকে ৪৭ হাজার ৭২৬ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর হাজিরা ১০ হাজার ২৯৩ টাকা করে ফেরত পাবেন। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হাজীদের টাকা দেয়া শুরু হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জানা যায়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ পবিত্র হজ পালনে যান। এর মধ্যে সরকারিভাবে যান তিন হাজার ৭০০ জন। এবার সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা নেয়া হয়। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর সাধারণ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ ধরা হয়েছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।

কিন্তু সৌদি আরবে বাড়ি বা হোটেল ভাড়ার ক্ষেত্রে আনুমানিক ভাড়ার চেয়ে কম খরচ হয়েছে সরকারের। যাতে সরকারের ৯ কোটি ৪০ লাখ ৫১৭৭ টাকা বেঁচে গেছে। এ কারণে বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত দিতে চায় সরকার।


গতকাল বৃহস্পতিবার হজের ব্যয় না হওয়া টাকার চেক ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ অফিসের পরিচালকের অনুকূলে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সময় কম থাকায় সৌদি আরবে বিভিন্ন খরচ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই সেগুলোর আনুমানিক খরচ ধরে হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে বাড়ি ও হোটেল ভাড়ার খরচ বেঁচে গেছে। এবার হজে সৌদি সরকার সব দেশের কোটা কমিয়ে দেয়ায় হোটেল ও বাড়ি সহজলভ্য ছিল, ভাড়াও ছিল কম। তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক হজযাত্রীকে চেকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেয়া হবে। যে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করা হয়েছিল, ওই নম্বর যাচাই করে চেক দেয়া হবে।

বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজে যাওয়া ব্যক্তিদের খরচ ফেরতের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) নেতাদের ডাকা হয়েছিল। তারা বলেছেন, সরকার লাভ করে না, তাই তারা টাকা ফেরত দিতে পারে, এজেন্সিগুলো তো মুনাফা করে। এ ছাড়া হিসাব-নিকাশের কাজও শেষ, তাই হাজিদের অর্থ ফেরত দেয়ার কোনো সুযোগ তাদের নেই।

গত ৮ জুলাই সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হয়। ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ)। হজ শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হয় গত ৮ আগস্ট।