Naya Diganta

শামসুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে : অধ্যাপক হারুনুর রশিদ

বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান।

তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আ ন ম শামসুল ইসলামকে প্রায় এক বছরের অধিক সময় ধরে কারাগারে বন্দী রেখেছে।

তিনি বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত অঞ্চল পরিচালক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, কবির আহমদ প্রমুখ। এছাড়াও এতে অঞ্চল পরিচালকরা অংশ নেন।

অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, শামসুল ইসলাম সরকারের জুলুমের শিকার। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ৯০টি মামলা করেছে। এসব ঠুনকো মামলায় তিনি জামিনপ্রাপ্ত হলে সরকারের ইশারায় তাকে বার বার জেলগেটে আটকে দেয়া হয়। যা অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ। শামসুল ইসলাম দেশের একজন সজ্জ্বন রাজনীতিবিদ। তিনি আজীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে তিনি তার কণ্ঠ সব সময় উচ্চকিত করেছেন। এমন একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদকে সরকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে ৯০টির অধিক মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দী রেখেছে। এসব ঠুনকো মামলায় তিনি জামিন পাওয়ার দাবিদার হলেও তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বয়সের কারণে তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানাবিধ রোগে অসুস্থ। অথচ এ সময়ে তাকে কারাগারে ডিভিশন না দিয়ে দেশের বিভিন্ন কারাগারে পাঠিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, অবিলম্বে সকল মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ সকল রাজনীতিবিদকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে আছে। আজ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশছোঁয়া। খেটেখাওয়া শ্রমিকরা আজ দু’বেলা ঠিকমতো খেতে পারছে না। টিসিবি ট্রাকে স্বল্পমূল্যের পণ্য দেয়ার নামে গরিব মানুষদের অতি নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী দেয়া হচ্ছে। অবিলম্বে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা শ্রমিকদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মহীন শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি