Naya Diganta

বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা বানাতে চান বিসিবি সভাপতি

বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা বানাতে চান বিসিবি সভাপতি

ওপেনার যেন এখন সোনার ডিম পাড়া হাঁস। এশিয়ার আবহাওয়ায় মিরাজে স্বস্তি মিললেও অস্ট্রেলিয়ায় কী করবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। সাপের ফণা তোলা সুইং সামলাতে পারবে তো এই অলরাউন্ডার? মিরাজে যদিও শুধু প্রশ্ন রয়েছে, অপরপ্রান্তে মিরাজে ওপেনিং জুটিই পাওয়া যাচ্ছেনা খুঁজে। উত্তর তো বহুদূর, প্রশ্নই করা হবে কাকে, এই প্রশ্নেরই উত্তর দেবে কে!

ওপেনার সঙ্কটের সমীকরণই যখন মেলাতে পারছে দল, বোর্ড সভাপতির চোখ তখন শ্রীলঙ্কা হবার স্বপ্নে বিভোর। যেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেই সলিল সমাধি হয়েছিল এশিয়া কাপ স্বপ্নের, যেই শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হলেই গোটা দেশ উত্তেজনা উত্তাল তরঙ্গে ভাসে, সেই শ্রীলঙ্কাকেই আদর্শ মেনে এগোতে চায় বিসিবি। গতকাল গণমাধ্যমকে তিনি জানান,

'লিটন দাস তামিমের কাছাকাছি এখনো যায়নি। এই জিনিসগুলো আমাদের বুঝতে হবে। এদের পটেনশিয়াল আছে আমি মনে করি এদেরকে অন্তত একটা বছর যদি সময় দেয়া যায় এবং বারবার চেঞ্জ না করি দলের মধ্যে বাববার প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে দলের মধ্যে। এই এক্সপেরিমেন্ট বন্ধ করে একটি স্কোয়াড তৈরি করতে হবে। যেটা নাকি শ্রীলঙ্কা করেছে। চার বছর একটি নতুন টিমের ওপর কাজ করেছে ওরা। সাড়ে তিন বছর পর ওরা ফলাফল পেল।'

মূলত সকল অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের একসাথে অবসর নেয়ায় বিপাকে পড়ে যায় লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। যারা ছিল তাদের নিয়ে চেষ্টা করেও এগিয়ে যাওয়া যায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। এই সময় তরুণ ক্রিকেটারদের একটা প্রক্রিয়ার মাঝে রেখে ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হয় তাদেরকে। যা দেখভালের দায়িত্ব উঠে অভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়ান কোচ টম মুডির হাতে। যে দলটাকে তিনি শুধু গড়েই তোলেননি, শিরোপা জিতিয়ে দিয়েছেন তাদেরকে।

যাহোক, এই সময় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে পাপন বলেন, 'সোহান ক্যাপ্টেন্সিও ভালো, উইকেটকিপিংটাও ভালো। আমি কোনো সমস্যাই দেখি না। এখন আমাদের টিমে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা ভালো খেলছে। কিন্তু ওদেরকে একটু সময় দিতে হবে। আমি বলছি কি, এই যে আফিফ, আফিফ কিন্তু এখনও মুশফিক বা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়ে যায়নি। আমরা যেন ভুলগুলো না করি। সোহানও ওদের কারো মতো হয়নি। এখনও অনেকদূর যেতে হবে। এদের মধ্যে অনেক পটেনশিয়াল আছে।'

যার ফলে কাজ শুরু করেছে ক্রিকেট বোর্ড। অধিনায়কত্ব হারানো মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিয়েছেন দল থেকেও। ইঙ্গিত পেয়ে মুশফিকও টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দিয়েছেন আগে-ভাগেই। লক্ষ্য একটাই, নতুন রূপে একটা দল তৈরী করা। যারা একসাথে থাকবে দীর্ঘ সময়, একসাথে খেলবে বছরময়। নিজেদেরকে নিজেরাই গুছিয়ে নিয়ে যাবে সম্মুখে। আর নেতৃত্বও থাকছে সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরার হাতে। আর টম মুডির চরিত্রটা গেছে শ্রীধরন শ্রীরামের ঝুলিতে।