Naya Diganta

ইসলামাবাদকে মার্কিন সামরিক সাহায্য দেয়ায় ক্ষুব্ধ দিল্লি

পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্য দেয়ার কারণে রোববার যুক্তরাষ্ট্রকে তোপ দেগেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। সোমবার ভারতকে এর জবাব দিলো যুক্তরাষ্ট্র। সোমবারই মধ্যরাতে মার্কিন পররাষ্ট্র্র্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের সাথেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। দুই দেশের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি একেবারেই আলাদা। কোনো দেশের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে সেই নীতি প্রণয়ন করা হয় না। এনডিটিভি।
সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস। জয়শংকরের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের সাথে আমাদের স্বতন্ত্র পররাষ্ট্রনীতি রয়েছে। এক দেশের সাথে আমরা যেভাবে সম্পর্ক রাখি, তার প্রভাব কখনোই অন্য দেশের উপরে পড়ে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এই দুই দেশের গুরুত্ব আলাদা। আমরা মনে করি এই দুই দেশই কূটনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার। তাই আমরা ভারতের সাথে যেভাবে সম্পর্ক রাখি, পাকিস্তানের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে তার প্রভাব পড়বে না। একই কথা ভারতের ক্ষেত্রেও।’
সম্প্রতি পাকিস্তানের জন্য বিশেষ সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলোর আধুনিকীকরণের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এর ফলে চরম ক্ষুব্ধ ভারত। মোদি সরকারের ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতির সাথে সঙ্গতি রেখে রোববার ওয়াশিংটনের এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর।
জয়শংকর বলেন, ‘পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক রেখে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো লাভ হচ্ছে না। আমার মনে হয়, বিষয়টি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেবে দেখার সময় হয়েছে। আপনারা বলছেন, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ব্যবহার করবে পাকিস্তান। আপনারা কাকে নির্বোধ ভাবছেন! সবাই জানে এই বিমান কার বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে। কোনো মার্কিন নীতিনির্ধারকের সাথে কথা হলে আমি বলব, ভেবে দেখুন আপনারা কী করছেন।’
আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ইসলামাবাদকে প্রয়োজন ওয়াশিংটনের। তা ছাড়া রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পাল্টা চাপ তৈরির একটা চেষ্টাও বলে মনে করছে ভারত। গত সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের প্রধান যুদ্ধবিমান এফ-১৬-কে ঢেলে সাজানোর জন্য ৪৫ কোটি ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধবিমান কিনেছিল পাকিস্তান।