Naya Diganta

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে ঘাট ইজারা দিয়ে সরকারের পৌনে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের কমিশন সভায় এই মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালক পরিকল্পনা) মো: দেলোয়ার হোসেন (যুগ্মসচিব), পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ মুহাম্মদ আবু জাফর হাওলাদার, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ, অতিরিক্ত পরিচালক মো: সাইফুল ইসলাম (বর্তমান পরিচালক), যুগ্ম পরিচালক বন্দর জুলফা খানম ও উপপরিচালক (ইজারা) মো: মোস্তাফিজুর রহমান, তিন ইজারাদার মোহাম্মদ এজাজ আহমেদ সোহাগ, সাকিব আহমেদ ইমন ও মো: রফিকুল ইসলাম খান। এ ছাড়া এই মামলায় সাবেক তিন উপ-পরিচালককেও আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- শেখ মো: সেলিম রেজা, মো: কবির হোসেন, মোহা: মাসুদ পারভেজ। এজাহারের বরাত দিয়ে দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিডাইডব্লিউটিএ) আওতাধীন আরিচা নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন নবসৃষ্ট নগরবাড়ী-কাজিরহাট নরদেহ নদী বন্দরের আওতাধীন নগরবাড়ী/কাজিরহাট/নগাদহ বন্দর এলাকায় (এলএসসি) শুল্ক আদায় কেন্দ্র ঘাট পয়েন্ট ইজারা প্রদানে অনিয়ম করেছেন।


অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিস্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ক্ষমতা অপব্যবহার করে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজারমূল্যের চেয়ে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৪ টাকা কমে ও ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজারমূল্যের চেয়ে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯০২ টাকা কমে ইজারা দিয়ে সরকারের ৬ কোটি ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩৬ টাকা আর্থিক ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করা হয়েছে।
দুদকের এজাহারে আরো বলা হয়, অভিযুক্ত বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসেবে নিয়োজিত থেকে আমদানি-রফতানি/খালাসকৃত মালামালের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য/রেকর্ড পর্যালোচনা না করে ঘাটটির চলমান বার্ষিক ইজারা মূল্য ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা হলেও প্রাক্কলতি মূল্য নির্ধারণে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদন ব্যতিরেকেই ২০২১-২২ অর্থবছরের ২ কোটি টাকা দরে ইজারা অনুমোদন করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে বলা হয়, পূর্ণকালীন চুক্তিনামাধারী এ ইজারাদার না হওয়া সত্ত্বেও ঘাট পয়েন্টের জন্য ২০১১-১২ অর্থবছরে নবায়নের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করা হয়, যেখানে ঘাট ইজারা দেয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি।