Naya Diganta
স্মরণ

শেখ ফজলল করিম

স্মরণ

সাহিত্যিক শেখ ফজলল করিমের জন্ম ৩০ চৈত্র ১২৮৯ বঙ্গাব্দে (১৮৮২ ইংরেজি) বর্তমান লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনায়। বাল্যকালে তার গৃহশিক্ষক ছিলেন রঙ্গপুর দিক্প্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক হরশঙ্কর মৈত্রেয়। উনিশ বছর বয়সে বিদ্যালয়ের পাঠ ত্যাগ করে কাকিনা রেলস্টেশনের নিকটবর্তী মেসার্স এমডি আপকার কোম্পানির জুট ফার্মে চাকরি নেন। স্বীয় দক্ষতাগুণে সহকারী ম্যানেজার পদে উন্নীত হন। সাত বছর পর চাকরি ছেড়ে দিয়ে কাকিনায় সাহারিয়া প্রিন্টিং ওয়ার্কস নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ ছাপাখানা থেকে তার সম্পাদনায় বাসনা নামে একটি উচ্চাঙ্গের মাসিক পত্রিকা প্রকাশ হয়। গদ্য ও পদ্য, উভয়বিধ রচনাতেই সিদ্ধহস্ত ছিলেন ফজলল করিম। তার সাহিত্যকর্মের ভাষা প্রাঞ্জল এবং তাতে একটি সহজ সাবলীলতা লক্ষণীয়।
সরল পদ্য বিকাশ (১৮৯৩), তৃষ্ণা (১৯০০), পরিত্রাণ কাব্য (১৯০৪), ভক্তি পুষ্পাঞ্জলি (১৯১১), গাঁথা (১৯১৩) প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। লায়লী মজনু (১৯০৪) শেখ ফজলল করিমের রচিত উপন্যাস। মানসিংহ (১৯০৩), মহর্ষি হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতির রা: জীবন-চরিত (১৯১৪), চিন্তার চাষ (নীতিকথা, ১৯১৬), বিবি রহিমা (জীবনী, ১৯১৮), পথ ও পাথেয় (১৯১৮), রাজর্ষি এবরাহীম (জীবনী, ১৯২৫), বিবি খাদিজা (জীবনী, ১৯২৭), বিবি ফাতেমা (জীবনী, ১৯২৭) ইত্যাদি তার লিখিত প্রসিদ্ধ গদ্যগ্রন্থ। হারুন-অর-রশিদের গল্প (১৯১৬) ও সোনার বাতি (১৯১৮) তার শিশুতোষ গ্রন্থ। তিনি ধর্মপ্রাণ এবং হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী লেখক হিসেবে পরিচিত। নদীয়ার সাহিত্য সভা কর্তৃক সাহিত্যবিশারদ ও কাব্যরতœাকর উপাধিতে ভূষিত হন। মৃত্যু ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৬ সালে।