Naya Diganta

দর্জি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে : হারুনুর রশিদ

দর্জি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে : হারুনুর রশিদ

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, অধিকাংশ দর্জি শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত হওয়ার কারণে তারা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ফলে তাদের জীবনে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগে না। দর্জি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

সোমবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত দর্জি সেক্টরের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন- দর্জি সেক্টরের সভাপতি আলমগীর হোসাইন, দর্জি শ্রমিক নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ শিকদার, কামাল উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।

অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের দেশে লাখ লাখ শ্রমিক দর্জি সেক্টরে নিয়োজিত। এত বিশাল সংখ্যক শ্রমিকদের কাজের কোনো নিয়োগপত্র নেই। তারা দৈনন্দিন কাজের আলোকে মজুরি পেয়ে থাকে। শ্রমিকরা যখন মজুরি বৃদ্ধির দাবি করে মালিকরা তখন তাদের চাকরিচ্যুত করে। এক্ষেত্রে যেহেতু শ্রমিকদের নিয়োগপত্র নেই তাই মালিকরা ইচ্ছে খুশিমত চাকুরিচ্যুত করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, দর্জি শ্রমিকরা বহু আগের রেটে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। যা বর্তমান বাজার মূল্যে অচল। অবিলম্বে বর্তমান বাজারের আলোকে দর্জি শ্রমিকদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে হবে। শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও নিয়োগপত্র দিতে হবে। শ্রমিকরা বর্তমানে উৎসব ভাতাসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

দর্জি শ্রমিকদের জন্য উৎসব ভাতা চালু করতে হবে। দর্জি শ্রমিকদের একটি বড়ো অংশ চোখের সমস্যায় জর্জরিত। এই সকল শ্রমিকদের চোখের চিকিৎসাসহ যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয় মালিকদের বহন করতে হবে। শ্রমিকদের বিশ্রাম ও বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের দিয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করানো যাবে না। কাজ করাতে হলে দ্বিগুণ মজুরি দিতে হবে। কারখানায় সুষ্ঠুকর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি