Naya Diganta
বিক্ষোভে উসকানির অভিযোগ

ব্রিটেন ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে তলব ইরানের

বিক্ষোভে উসকানির অভিযোগ

ইরানে নিযুক্ত ব্রিটেন ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে তেহরান। পুলিশি হেফাজতে ইরানি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুতে ইরানজুড়ে যে বিক্ষোভ চলছে, তাতে উসকানির অভিযোগে দেশ দু’টির দূতকে তলব করা হয়।
ইরানের অভিযোগ, লন্ডন-ভিত্তিক ফার্সি ভাষার সংবাদমাধ্যম এ বিক্ষোভ নিয়ে ‘শত্রুপরায়ণ’ তৎপরতা চালাচ্ছে। এ অভিযোগ জানাতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত রোববার ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেয় এবং বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক ও ইন্টারনেটের স্বাধীনতার ওপর ইরানের ধরপাকড় অভিযানের নিন্দা জানায়।
একই দিন নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছিল ইরান। নরওয়ের পার্লামেন্ট স্পিকার মাসুদ ঘারাখানি ইরানের বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিলেন। স্পিকারের এমন হস্তক্ষেপমূলক অবস্থানের ব্যাখ্যা চেয়ে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। ঘারাখানির জন্ম তেহরানে। তিনি টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘১৯৮৭ সালে আমার মা-বাবা যদি ইরান ছেড়ে চলে আসার সিদ্ধান্ত না নিতেন, তাহলে হয়তো আমাকে এখন জীবনবাজি রেখে ইরানের রাস্তায় অন্য বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি লড়াই করতে হতো।’
মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যারা বিক্ষোভ করছেন, তাদের দাঙ্গাবাজ বলে উল্লেখ করছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিচ্ছে উল্লেখ করে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান ওয়াশিংটনের সমালোচনা করেছেন।
এ দিকে পার্স টুডে জানায়, হিজাব আইন অমান্য করার অপরাধে পুলিশের হাতে আটক এক ইরানি তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহের দাঙ্গার বিরুদ্ধে রাজধানী তেহরানে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছেন লাখ লাখ মানুষ। মিছিলকারীরা বিদেশীদের মদদে দাঙ্গা সৃষ্টিকারীদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সেøাগান দেন। তেহরানের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ইরানের জাতীয় পতাকাসহ নানারকম সেøাগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। তারা যুক্তরাষ্ট্র, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মদদে দাঙ্গা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানান।